Advertisement
E-Paper

সেই দুই বেআইনি বহুতল ভাঙার নির্দেশ

বুধবার বেআইনি নির্মাণের খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৯
গত বুধবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত সংবাদ। ফাইল চিত্র

গত বুধবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত সংবাদ। ফাইল চিত্র

হাওড়ার জয়পুরে পূর্ত দফতরের জমি দখল করে বহুতল বানানোর অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সে দু’টি ভেঙে ফেলার জন্য নির্মাণকারীদের নোটিস পাঠিয়েছে প্রশাসন। পূর্ত (সড়ক) দফতরের আমতা সাব ডিভিশনের তরফে বলা হয়েছে, নোটিস পাওয়ার দশ দিনের মধ্যে বাড়ি দু’টি ভেঙে ফেলতে হবে।

পুলিশ ও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমতা-ঝিকিরা রাস্তার ধারে পূর্ত দফতরের জমিতে বাড়ি দু’টি যে ভাবে তৈরি হচ্ছিল, তা দেখে বিস্মিত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার বেআইনি নির্মাণের খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

পূর্ত (সড়ক) দফতরের আমতা সাব ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’টি ভবনই পূর্ত (সড়ক) দফতরের জমিতে তৈরি হয়েছে। যাঁরা ভবন দু’টি তৈরি করছেন, তাঁদের নোটিস দেওয়া হয়েছে। নোটিস পাওয়ার দশ দিনের মধ্যে ভবন দু’টি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।’’ সঙ্গে যোগ করেন: ‘‘ওই ব্যক্তিরা নিজেরা যদি ভবন দু’টি না ভাঙেন, তবে মহকুমাশাসকের (উলুবেড়িয়া) অনুমতি নিয়ে পুলিশের সাহায্যে পূর্ত (সড়ক) দফতরই সে দু’টি ভেঙে দেবে।’’

অভিযোগ, ভবন দু’টি তৈরি করছেন স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী। উদ্দেশ্য, দোকান তৈরি করে ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করা। তাঁদের মধ্যে সেখ বাবুলাল বলেন, ‘‘বাড়ি ভেঙে ফেলার নোটিস হাতে আসেনি। এলে দেখা যাবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বেআইনিভাবে আরও অনেক দোতলা ও তিনতলা ভবন এখানে হয়েছে। সে গুলো নিয়ে পূর্ত দফতর কিছু বলছে না! এই সব দেখেই তো আমরা সাহস পেয়েছি।’’ অন্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বাবুলালের অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ত (সড়ক) দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, রাস্তার ধারে অস্থায়ী বেআইনি দোকানঘর আছে। প্রয়োজনে সে গুলিও ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনতলা ভবন আগে কেউ করেনি। বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না।

বিতর্কিত দু’টি ভবনই তিনতলা। একমাস আগে সে দু’টি তৈরির কাজ শুরু হয়। একটি জয়পুর থানার সামনে। অন্যটি পঞ্চানন রায় কলেজের কাছে। অভিযোগ, কলেজের কাছে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল সংলগ্ন চাষের জমিতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে।

এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লকের সবক’টি পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে থাকায় শাসকদলের একাংশের ‘মদতে’ সরকারি জমি দখল করে ‘বেআইনি’ নির্মাণ চলছে। তাঁরা প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেঠেন আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি সেলিমুল আলম।

PWD Amta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy