Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অনিয়ম, বাতিল মাদ্রাসার প্যানেল

বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক (আরামবাগ) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেন, ‘‘ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় কিছু গলদ ছিল। তা ছাড়া যাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে, তাঁর বিএড সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এই দু’টি অস্বচ্ছতার কারণেই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খানাকুল শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৭
Share: Save:

হাইমাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তদন্ত করে সেই নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল বাতিল করে দিল জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর। খানাকুলের ধরমপুর হাই মাদ্রাসার ঘটনা।

বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক (আরামবাগ) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেন, ‘‘ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় কিছু গলদ ছিল। তা ছাড়া যাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে, তাঁর বিএড সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এই দু’টি অস্বচ্ছতার কারণেই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে।’’

চন্দ্রশেখরবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, প্যানেলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সাফল্যাঙ্ক বা নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৬ সালের সরকারি নির্দেশিকায় এই নম্বর উল্লেখ বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ধরমপুর হাই মাদ্রাসা সে নিয়ম উলঙ্ঘন করেছে। তা ছাড়া, ওই প্যানেলে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী শেখ ফরিদুল কাদের সম্প্রতি জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়।

জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে ধরমপুর হাই মাদ্রাসার আরবি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক বিএড করার জন্য ছুটি নিয়েছেন। অভিযোগ, ওই শিক্ষকের পদে ডেপুটেশন ভ্যাকান্সিতে অন্য শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে গত ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন তাঁরা।

আবেদন করেন মোট ১৭ জন। ২৬ অগস্ট সম্ভাব্য যোগ্য ১০ প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। হাজির হন পাঁচ জন। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে চারজনের বিএড ডিগ্রি ছিল। কিন্তু প্যানেল বের হওয়ার পর দেখা যায়, একমাত্র যাঁর বিএড ছিল না তাঁর নামই সবার আগে রয়েছে। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের মাচিনানের বাসিন্দা। দ্বিতীয় স্থানে নাম ছিল খানাকুলের বাসিন্দা শেখ ফরিদুল কাদেরের, তৃতীয় বীরভূমের ইলামবাজারের শেখ সাজাহান।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ফরিদুল স্কুল শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত জেলা পরিদর্শক (আরামবাগ) চন্দ্রশেখর জাউলিয়ার কাছে অভিযোগ দায়ের। ফরিদুলের অভিযোগ, “বিএড করা নেই এমন একজন প্রার্থীর অ্যাকাডেমিক স্কোরে পূর্ণমান দেওয়া হয় কী ভাবে?’’

প্রধান শিক্ষক আইনুদ্দিন মল্লিক বলেন, ‘‘প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটির কারণে ২০১১ সালের সরকারি নির্দেশিকা আমরা যথা সময়ে পাইনি। অন্য অভিযোগটি খতিয়ে দেখে স্কুল পরিচালন সমিতি তা সংশোধন করবে।’’ মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির সম্পাদক বলেন, ‘‘আমরা নতুন করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, নাকি ত্রুটি থাকা প্যানেল সংশোধন করব তা স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকে স্থির হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madrasa Recruitment Cancelled Khanakul
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE