Advertisement
E-Paper

শরীরে অক্সিজেন কমলে ব্যবস্থা, পার্লার রিষড়ায়

মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাল উদ্যোগ। তবে আমরা বলেছি, প্রশিক্ষিত লোকের মাধ্যমে ওই কাজ করতে হবে।

প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৭:০৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত হলে অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাচ্ছে। তাতে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। এই ধরনের লোকজনের কথা ভেবে হুগলির রিষড়া শহরে অক্সিজেন পার্লার চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় পুরসভা। এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। নিখরচায় ওই পরিষেবা মিলবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাল উদ্যোগ। তবে আমরা বলেছি, প্রশিক্ষিত লোকের মাধ্যমে ওই কাজ করতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। যথাযথ ভাবে জীবাণুনাশক ছড়ানোর ব্যবস্থা-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি পালনের বন্দোবস্ত করতে হবে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করে প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে তা নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। তবে অক্সিজেন দিতে হলে প্রশিক্ষিত লোক দরকার।

এই বিষয়ে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শে কাউকে কাউকে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। তার জন্য হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ছুটতে হচ্ছে। শহরেই এই পরিষেবা দিতে পারলে মানুষ উপকৃত হবেন। পুরসভার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরাই অক্সিজেন দেবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠন, দুর্গা বা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিজেদের সংগঠনের ঘরে অক্সিজেন পার্লার তৈরি করতে অনেকেই সম্মত হন। পুরসভার করোনা সংক্রান্ত নোডাল অফিসার অসিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই ধরনের অক্সি-পার্লার তৈরি এবং চালাতে প্রযুক্তগত সাহায্য করবে পুরসভা। যাঁরা ওই কাজে নিযুক্ত থাকবেন, তাঁরা পিপিই-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করবেন। ঘন ঘন জীবাণুনাশক ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগামীকাল, শুক্রবার অন্তত তিনটি জায়গায় এই পরিষেবা চালু হবে।

পুর-কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, ৩-৪টি ওয়ার্ড পিছু একটি অক্সি-পার্লার করা। পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ২২টি। বিজয়বাবু জানান, যে সংগঠনের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তারা নিজেরাই খরচ বহন করবে। যারা তা পারবে না, তাদের পাল্স অক্সিমিটার যন্ত্র বা অক্সিজেন সরবরাহ করবে পুরসভাই। স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে কোনও ফাঁক যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ওই কাজ করা হবে।

Oxygen Parlour Rishra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy