ফের দিঘা যাওয়ার পথে উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনের। শুক্রবার ভোরে এই দুর্ঘটনায় মৃত কার্তিক সাধুখাঁ (৪২) নদিয়ার বাসিন্দা। গাড়িটি একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মেরেছিল। পুলিশের অনুমান, গাড়িটির চালক ঘুমিয়ে পড়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারান এবং তার জেরেই দুর্ঘটনা।
শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মেরে দুমড়ে, মুচড়ে যায় সামনের অংশ। পুলিশ গিয়ে গা়ড়ির ভিতর থেকে চালক-সহ ৯ জনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কার্তিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানায়, কার্তিক কৃষ্ণনগরের ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা যাবেন বলে কার্তিক ও রাজীব সাধুখাঁর পরিবারের আট সদস্য ওই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। গাড়িতে ছিল চার শিশুও। চালক-সহ সকলেই গুরুতর জখম অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত বুধবার ভোর ৬টা নাগাদ কলকাতা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। সে ক্ষেত্রেও বাগনানের তামুলতলার কাছে চালক ঘুমিয়ে পড়েন বলে পুলিশের অনুমান।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে গোঘাটের মদিনা এলাকায় আরামবাগ-বিষ্ণুপুর রোডে একটি ছোট লরির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক মালবাহী গাড়ির চালকের। মৃত চিরঞ্জিৎ অধিকারী (১৮) পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকার আঠিরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি আরামবাগের একটি দোকান থেকে পাথর নিয়ে কোতুলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় জখম ওই গাড়ির খালাসি এবং দোকানের এক কর্মীও। পুলিশ ছোট লরিটির চালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।