Advertisement
E-Paper

কালসাপা-বুড়িখালি রাস্তা বেহাল, দুর্ভোগ যাত্রীদের

রেলের দাবি, তাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। পুরসভার দাবি, তারা এখনও পুরো বরাদ্দ পায়নি। ফলে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে উলুবেড়িয়ার কালসাপা থেকে বাউড়িয়ার বুড়িখালি পর্যন্ত রাস্তাটির। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির পাশেই রেললাইন। রয়েছে রেলের লেভেল ক্রসিংও। রাস্তাটি উলুবেড়িয়ার সঙ্গে চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ার যোগাযোগেরও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩১
ছবি: সুব্রত জানা।

ছবি: সুব্রত জানা।

রেলের দাবি, তাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে।
পুরসভার দাবি, তারা এখনও পুরো বরাদ্দ পায়নি।
ফলে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে উলুবেড়িয়ার কালসাপা থেকে বাউড়িয়ার বুড়িখালি পর্যন্ত রাস্তাটির। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির পাশেই রেললাইন। রয়েছে রেলের লেভেল ক্রসিংও। রাস্তাটি উলুবেড়িয়ার সঙ্গে চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ার যোগাযোগেরও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি এতটাই বেহাল যে যাতায়াতে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রায় গোটা রাস্তাটির কোথাও পিচের আস্তরণ নেই। মাঝে বড় বড় গর্ত। তাতে বৃষ্টির জল জমে গেলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ।
রাস্তাটি দেখভাল করার কথা রেলের। মাঝেমধ্যে অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভা খানাখন্দে জোড়াতাপ্পির কাজ করে। কিন্তু সেই কাজও দীর্ঘদিন হয়নি। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রাস্তা-সহ কয়েকটি রাস্তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য বছর খানেক আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সেই টাকার সামান্যই এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। তা দিয়ে ওই রাস্তায় জোড়াতাপ্পির কিছু কাজ হয়েছে। পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান বলেন, ‘‘আমরা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। তারা বকেয়া টাকা শীঘ্রই দিয়ে দেবে বলেছে। টাকা পেলেই কাজ শুরু হবে।’’
রেলও রাস্তাটি সংস্কারে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রাজ কুমারমঙ্গলম বলেন, ‘‘আর্থিক সমস্যা রয়েছে। ফলে, দীর্ঘদিন অ্যাপ্রোচ রোডগুলির সংস্কার সম্ভব হয়নি। তবে, ধীরে ধীরে আমরা সেগুলো সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছি। ওই অ্যাপ্রোচ রোডটিরও সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’’
ওই রাস্তা দিয়ে উলুবেড়িয়া-বাউড়িয়া রুটের অটো চলে। উলুবেড়িয়া আদালত, মহকুমাশাসকের দফতর, থানা, কলেজ, হাসপাতাল যেতে গেলেও ওই রাস্তাটি ব্যবহার করেন চেঙ্গাইল, বাউড়িয়া এবং ফুলেশ্বর এলাকার লোকেরা। ল্যাডলো, কানোরিয়া চটকলেরও হাজার হাজার শ্রমিক প্রতিদিন ওই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু যাতায়াতে সকলেই সমস্যায় পড়েন। বাউড়িয়ার কলেজ ছাত্র সুদীপ্ত মণ্ডল এবং স্থানীয় বাসিন্দা অজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে যাওয়ার সময় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। পুরসভা ও রেলের মধ্যে সমম্বয় সাধিত হোক এবং রাস্তাটির দ্রত সংস্কার করা হোক।’’

Road damaged Uluberia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy