Advertisement
E-Paper

বৃষ্টিতে কাদা, রোদে ধুলো, নাকাল হাওড়া

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দান থেকে আড়ুপাড়া পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যস্ত রাস্তা কয়েক মাস ধরে এ ভাবেই কাদা-ধুলোয় নাজেহাল হচ্ছে।

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কাঁচা মাটির পুরু আস্তরণে ঢাকা পড়েছে পিচ রাস্তা। বৃষ্টি পড়লেই ভয়ঙ্কর ভাবে পিচ্ছিল হয়ে উঠছে সেই মাটির স্তর। তার পর আবার রোদের তাপে শুকিয়ে গিয়ে ধুলোর ঝড় উঠছে গোটা এলাকায়। ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে গৃহস্থের ঘরদোর। শ্বাসের সঙ্গে ধুলো ঢুকে যাচ্ছে শরীরের ভিতরেও। হাওড়ার দিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের মাটি ডাম্পারে চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে মাটি পড়ে এমনই হাল হয়েছে এলাকার। এরই প্রতিবাদে বুধবার পঞ্চাননতলা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ঝাউতলা রোডের বাসিন্দারা।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দান থেকে আড়ুপাড়া পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যস্ত রাস্তা কয়েক মাস ধরে এ ভাবেই কাদা-ধুলোয় নাজেহাল হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ুপাড়ায় একটি বড় পুলিশ হাসপাতাল তৈরির জন্য যে কয়েকশো বিঘা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে তা মূলত নিচু জলা জমি। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই জলা জমি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে মেট্রোর উদ্বৃত্ত মাটি দিয়ে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার অজয় নন্দী বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ ওই জমিতে মাটি ফেলতে বলেছে বলেই ফেলছি। মাটি নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারেরা। আমাদের দায় নেই। এলাকার অসুবিধা হলে কাজ বন্ধ করে দিতে হবে।’’

হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড থেকে শুরু করে জনবহুল কদমতলার ১০০ ফুট রাস্তা-সহ কামারডাঙা রোডের মতো রাস্তারও এই অসুবিধায় বেহাল দশা। বৃষ্টি আর রোদে পর্যায়ক্রমে ভরে উঠছে কাদা এবং ধুলো। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। মামলার রায়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ ও কলকাতা পুরসভাকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হাওড়ায় বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করার জন্য। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘যে মাটি ভূগর্ভ থেকে কেটে তোলা হচ্ছে, তাতে মেশানো হয় ভেন্টোলিন ও পলিমারের মত বিষাক্ত রাসায়নিক। না হলে মাটি কাটা যায় না। ওই রাসায়নিকও ধুলোর সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢুকছে।’’ বক্ষরোগ চিকিৎসক পার্থসারথি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ধুলোয় যদি রাসায়নিক মিশে যায়, তবে তা অবশ্যই ক্ষতিকর। তা ছাড়া ধুলোর জন্য কাশি, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।’’

উৎসবের মরসুমে রাস্তার এই হাল হওয়ায় ক্ষুব্ধ আড়ুপাড়া, কামারডাঙা এলাকার পুজো উদ্যোক্তারা। আড়ুপাড়া মিলন সঙ্ঘের সম্পাদক প্রতাপ বলেন, ‘‘রাস্তাগুলির যা হাল হয়েছে, তাতে পুজোয় বৃষ্টি হলে কী ভাবে সামাল দেব বুঝতেই পারছি না।’’ একই বক্তব্য কামারডাঙা শীতলাতলার দুর্গাপুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ কাঁড়ার ও সুপ্রিয় মাঝির। তাঁরা বলেন, ‘‘ধুলোয় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। পুজোয় এ বার খুবই সমস্যা হবে।’’

Howrah Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy