Advertisement
E-Paper

রাস্তা তৈরিতে বেনিয়ম তিরোলে, শো-কজ

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তিনটি রাস্তা সংস্কারে বেনিয়মের প্রমাণ মেলায় আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান এবং নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। নির্মাণ সহায়ককে শো-কজও করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে পুরনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করতে হয়েছে প্রধানকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৫ ০১:৪১

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তিনটি রাস্তা সংস্কারে বেনিয়মের প্রমাণ মেলায় আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান এবং নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। নির্মাণ সহায়ককে শো-কজও করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে পুরনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করতে হয়েছে প্রধানকে।

বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, ‘‘তদন্তে ত্রুটি দেখা গিয়েছে। নতুন করে টেন্ডার করে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। শো-কজের উত্তর দিয়েছেন নির্মাণ সহায়ক। তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

সম্প্রতি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশই ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগে জানান, তিনটি রাস্তার কাজকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ১৫টি ভাগে ভাগ করে টেন্ডার করা হয়েছে এবং কাজের বরাত পেয়েছেন প্রধান এবং নির্মাণ সহায়কের দুই আত্মীয়। এই দুর্নীতিতে প্রধান এবং নির্মাণ সহায়ক যুক্ত বলে অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পঞ্চায়েত সদস্যের।

টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করলেও কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ মানেননি দু’জনেই। নির্মাণ সহায়ক সঞ্জিৎ মালিক বলেন, ‘‘বিডিওর নির্দেশে ত্রুটি শুধরে নতুন টেন্ডার করে কাজ শুরু হচ্ছে।’’ প্রধান তৃণমূলের কাজি নিজামুদ্দিন দাবি করেন, ‘‘সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিনটি রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগ, সেগুলি হল— ডোঙ্গাবাতানল থেকে কামারসিটে ফুটবল মাঠ পর্যন্ত রাস্তা, পুইন গ্রামের নিমতলা পিচ রাস্তা থেকে পোড়েল পাড়া এবং ওই গ্রামের বামুন পাড়া থেকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত রাস্তা। সংস্কার কাজের জন্য জেলা কারিগরি দফতর ৮৮ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকারও অনুমোদন করে। কিন্তু নির্মাণ সহায়ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই তিনটি রাস্তার কাজকে ১৫টি ভাগে ভাগ করেন বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি অভিযোগের তদন্তের জন্য যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ মজুমদারকে পাঠান আরামবাগের বিডিও। সেই তদন্ত-রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্মাণ সহায়ককে শো-কজও করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, যেখানে ৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলেই ই-টেন্ডার করতে হয় কিংবা কোনও দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়, এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

arambag southbengal Tirol road construction tender village football ground trinamool tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy