লকডাউন পর্বে পরিযায়ীরা ফিরতেই গ্রামীণ হুগলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত হুগলিতে আক্রান্ত ৬৮৬ জন। তার মধ্যে প্রায় ৫০০ জনই পরিযায়ী। আক্রান্তদের অনেকেই উপসর্গহীন। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ধরনের সংক্রমিতদের বা সামান্য উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের এ বার থেকে ‘সেফ হাউস’-এ রাখা হবে। পাঁচ জায়গায় ‘সেফ হাউস’ তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৪০০ শয্যা থাকবে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘হুগলিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে এই ভাইরাস মোকাবিলায় গুরুত্ব সহকারে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেফ হোম চালু হয়ে যাবে।’’
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘সেফ হোমের’ সঙ্গে স্থানীয় ব্লক হাসপাতাল এবং কোভিড হাসপাতালের সংযোগ থাকবে। রোগীদের পরিচর্যার দায় বর্তাবে বিএমওএইচ-এর উপরে। মেডিক্যাল টিম দিনে দু’বার এই কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। রোগীর তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা প্রভৃতি নিয়মিত মাপা হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বা অক্সিজেন নির্দিষ্ট মাত্রার নীচে নেমে গেলে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। বাড়ির লোক রোগীকে খাবার দিয়ে আসতে পারবেন। তা সম্ভব না হলে প্রশাসনই খাবার দেবে। লালারসের নমুনা সংগ্রহের ১৪ দিন পর্যন্ত উপসর্গ দেখা না-গেলে ‘সেফ হোম’ থেকে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, এই কেন্দ্র চালু হলে হাসপাতালের উপরে চাপ কমবে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসারও দরকার পড়বে না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, হুগলিতে গত এক সপ্তাহে ৯৪ জন আক্রান্ত হন। শনিবারের তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৮২। রবিবার তালিকায় আরও ৪ জন যুক্ত হন। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৩৩৩ জন সেরে গিয়েছেন। রবিবার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে সংক্রমিত দু’জন ভর্তি হন। গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ওই হাসপাতালে ৩ মহিলা-সহ ১২ জন আক্রান্ত ভর্তি হন। সেরে ওঠায় গত তিন দিনে ৩ মহিলা-সহ ১৬ জন ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনই তারকেশ্বর ব্লকের বাসিন্দা।
তথ্য সহায়তা: তাপস ঘোষ