বেআইনি বালি খাদানগুলিকে ‘বৈধ’ করার জন্য নিলামে তুলছে রাজ্য সরকার।
বর্ষার সময়ে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরেও বালি তোলা হচ্ছে গোঘাটের একটি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালি খাদান থেকে। এমনই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত অন্য একটি বালি খাদানের মালিক ও কর্মীরা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমায় মোট ৬টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালিখাদান রয়েছে। তার মধ্যে গোঘাটে ৪টি, পুরশুড়ায় ১টি ও আরামবাগে ১টি বালিখাদ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৪ জুন থেকে বর্ষার সময়ে বালি খাদানগুলিতে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ, ৫টি বালিখাদান সেই নিষেধাজ্ঞা মানলেও লোকনাথ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা আরামবাগের চাঁদুরের বালিখাদান থেকে এখনও বালি তুলছে।
এ দিন মহাপ্রভু এন্টারপ্রাইজ নামে অন্য একটি সংস্থার মালিক এবং তাদের কর্মীরা সেই অভিযোগ নিয়ে আরামবাগ মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে আসেন। ওই সংস্থাটি গোঘাটের আদ্রা এলাকার একটি বালি খাদানের দায়িত্বে রয়েছে। তারা মহকুমা প্রশাসনে পুরো বিষয়টি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
যদিও অভিযোগ স্বীকার করেননি লোকনাথ এন্টারপ্রাইজের মালিক তপন সামন্ত। তাঁর দাবি, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০মিনিটে আমি বালি তোলা বন্ধ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা হাতে পেয়েছি। তার আগে আমাদের মৌখিক ভাবেও কিছু জানানো হয়নি।’’
আরামবাগ মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার সময়ে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বালিখাদান বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ ২৩ জুন বিকেলে পাওয়া যায়। কিন্তু তার পরে ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। তাই বালিখাদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির কাছে লিখিত নির্দেশ দেওয়া পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তবে সবাইকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy