উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু হয়েছিল অন্তর্বিভাগ। কিন্তু চিকিৎসক-সহ অন্য কর্মীর অভাবে বছর ৬-৭ ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে পরিষেবা। আর পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা মেশিনপত্র। সেদিকে নজর নেই উলুবেড়িয়া পুর কর্তৃপক্ষের। যদিও পুর কর্তাদের দাবি, তাঁরা এই অন্তর্বিভাগ চালুর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০০০ সালে আইপিপি-৮ (ইন্ডিয়ান পপুলেশন প্রোজেক্ট) প্রকল্পে পুরসভা মাতৃসদন নামে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে। প্রসূতি, দুঃস্থদের চিকিৎসা চলত সেখানে। পরিকল্পনা ছিল মহিলা বিভাগ ছাড়াও চক্ষু, দন্ত-সহ অন্য বিভাগ চালু করার। ২০০৯ সাল নাগাদ ওই প্রকল্পেই সেখানে অন্তর্বিভাগ চালু হয়। এই অন্তর্বিভাগে শুধু মহিলাদের চিকিৎসার সুযোগ ছিল। মহিলারা সেখান থেকে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পেতেন। এ ছাড়া সুলভ মূল্যে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষারও জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
কিন্তু চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীর অভাবে বছর খানেকের মধ্যেই অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। এই বিভাগ আজও চালু হয়নি। ফলে প্যাকেট বন্দি হয়ে আজও পড়ে আছে যন্ত্রপাতি। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, পড়ে থেকে থেকে সেগুলি প্রায় খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি জাতীয় আরবান হেলথ মিশন প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু যেখানে থাকার কথা ৭-৮ জন চিকিৎসক, রয়েছে মাত্র চার জন চিকিৎসক। প্রায় ১০ জন নার্স থাকার কথা ছিল। একজনও নেই। ল্যাবোরেটরিতে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। ফলে অন্তর্বিভাগ যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তেমনি শুরু হয়নি অন্য বিভাগও। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বর্তমানে সেখানে শুধু মাত্র বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। সাধারণ চিকিৎসা করা হয়। বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসক নেই। অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তারা অর্থের অভাবকেই দায়ী করেছেন। পুরপ্রধান অর্জুন সরকার বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই এটা চালু করার পরিকল্পনা আছে। পিপিপি মডেলে সেটা চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy