এই টাকাই হাপিস করেন বীরেন চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
প্রথম থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন তিনি। তাতেই সন্দেহ বেড়েছিল তদন্তকারীদের। টানা জেরায় শেষে ওই ব্যক্তি জানালেন, পুরোটাই নাটক। ডাকাতির গল্প ফেঁদে তিনিই চুরি করেছিলেন টাকা। লিলুয়ার একটি বাড়িতে মুখ বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় বাড়ির সেই জামাইকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে লুঠ হওয়া পুরো টাকা। ধৃতের নাম বীরেন চৌধুরী।
পুলিশ জানিয়েছে, লিলুয়ার ভূতবাগান এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বারুই জমি বিক্রির প্রায় ১১ লক্ষ টাকা বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সুভাষবাবুর তিন মেয়ে। মেজো মেয়েকে বাড়ির পাশেই জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। জামাই বীরেনকে নিজের গেঞ্জি কারখানায় কাজ দিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বেড়াতে যাওয়ার আগে সুভাষবাবু বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন মেজো জামাইয়ের উপরে।
সোমবার ভোরে বীরেন চিৎকার করে লোকজনকে ডেকে জানায়, চার ডাকাত তার মুখ বেঁধে সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়েছে। নিয়ে গিয়েছে ঘরের আলমারিতে শ্বশুরের রেখে যাওয়া প্রায় ১১ লক্ষ টাকাও। ওই দিনই বাড়ি ফিরে ডাকাতির কথা জানতে পারেন সুভাষবাবু।
পুলিশ জানায়, প্রথম থেকেই জামাই বীরেনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ছিল। তাতেই সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। টানা জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়ে। অপরাধ স্বীকার করে জানায়, লোভে পড়ে সে এমন করেছে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বীরেন জানিয়েছে, বাইরের কেউ ওই দিন আসেনি। সে নিজেই দেওয়ালে পিঠ ঘষে আঁচড়ের দাগ করেছিল। এর পরে আলমারি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র বার করে গোটা ঘরে ছড়িয়ে রাখে। শেষে পুরো টাকা নিয়ে রেখে এসেছিল শ্বশুরের গেঞ্জি কারখানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy