—ফাইল চিত্র।
হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বালি। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ধারণা হয়েছিল, নাগরিক পরিষেবা-সহ অন্যান্য বিষয়ে বালি তার গুরুত্ব হারাচ্ছে। তাই হাওড়া পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বালির নাগরিক পরিষেবায় কোনও ঘাটতি রাখতে চায় না রাজ্য প্রশাসন।
বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার পুরসভার বালি অফিসে স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন হাওড়ার পুর কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। বিজিনবাবু বলেন, ‘‘প্রতি মাসে এক বার নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক হবে। জরুরি বিষয় থাকলে দু’বারও বৈঠক হতে পারে।’’ এ দিনের আলোচনায় বালির ১৬টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাই, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পানীয় জল সরবরাহের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
কয়েকটি রাস্তা ও বাড়ি থেকে জঞ্জাল সাফাইয়ে সমস্যা, পানীয় জলের সংযোগ না পাওয়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের বিষয়-সহ আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে বৈঠকে এ দিন আলোচনা হয়। সেগুলি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজিনবাবু। দু’টি বেসরকারি সংস্থা ও পুরসভার একটি দল ভাগাভাগি করে ১৬টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকায় কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ দিন পুর কমিশনার জানান, সকলকে এক ছাতার নীচে এনে কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, সেই পরিকল্পনা হচ্ছে। আনা হচ্ছে কম্প্যাক্টর মেশিন।
আসন্ন লোকসভা ভোটের আগেই নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা শুরু হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিকাশি নালায় প্লাস্টিক, আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পুরসভার তরফে লাগানো হবে বোর্ড। ১৬টি ওয়ার্ড পিছু প্রায় ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকলেও তাঁদের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলা-সহ অন্যান্য নাগরিক পরিষেবায় তাঁদের আরও বেশি করে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন বিজিনবাবু।
বৈঠকের পরে বৈশালী বলেন, ‘‘বালির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এলাকার উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পুর বোর্ড নেই বলে পরিষেবা তো বন্ধ থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy