Advertisement
E-Paper

কোন্দল রুখতে কড়া দাওয়াই

অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি দলের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু পদত্যাগে রাজি নন বালি পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক রায়। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক পঞ্চায়েতের কাজে খবরদারি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০১:৩৭

দলের অঞ্চল কমিটির সভাপতির সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বন্দ্বে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। এই অভিযোগে প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি দু’জনকেই পদত্যাগ করতে বললেন তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ঘটনাটি হুগলির গোঘাট ১ ব্লকের বালি পঞ্চায়েতে।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গোঘাট ১ ব্লক তৃণমূলের প্যাডে বালি পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক রায় এবং দলের ওই এলাকার অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, ওই দু’জন নিজেদের পদ থেকে ১৩ জুনের মধ্যে পদত্যাগ না করলে দল উপযুক্ত নেবে। ওই চিঠিতে গোঘাট ১ ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন পাল এবং স্থানীয় বিধায়ক মানস মজুমদারের সই রয়েছে। প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, হুগলি জেলার পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম এবং হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের কাছেও।

গোঘাটের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন পাল বলেন, “বিধায়ক তথা দলের নির্দেশেই ওই দু’জনকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।”

অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি দলের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু পদত্যাগে রাজি নন বালি পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক রায়। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক পঞ্চায়েতের কাজে খবরদারি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি করছেন। তাঁর দাবি, “বিধায়ক চাইছেন দলের লোকরাই শুধু সরকারি সব সুবিধা পাবেন। যাবতীয় টেন্ডার দলের লোককেই দিতে হবে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সেটা পারি নাকি!” গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার জানান, গত ৪ জুন বৈঠক ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁদের পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গোঘাট ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত প্রধানের গোলমালে প্রায় বছর দুয়েক ধরে বালি পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে সব সদস্যেরা হাজির থাকেন না। ব্লক এবং মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার দশেক বৈঠক করা হলেও কোনও কাজ হয়নি। গতি হারিয়েছে ১০০ দিনের কাজ, স্বচ্ছ ভারত মিশন, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বিধবা, ও বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্পগুলি।

সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বার বার তেতে উঠেছে গোঘাট। দলের দ্বন্দ্বে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকার উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যাতে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামলানো যায় তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা।

TMC Group Clash Administration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy