Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জল জমে বেহাল রাস্তা, জুতো হাতে স্কুলে পড়ুয়ারা

উত্তর কাশ্যপপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে কিশোরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশের তিনটি গ্রাম থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা পড়তে আসে। বিদ্যালয়ে আসতে হলে তাদের উত্তর কাশ্যপপুরের রাস্তা দিয়েই আসতে হয়।

কাদা মেখে রোজ এই পথেই যেতে হয় স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

কাদা মেখে রোজ এই পথেই যেতে হয় স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

সুব্রত জানা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৫
Share: Save:

রাস্তার বেহাল দশা। স্কুলে ঢুকতে হলে জুতো হাতে করে যেতে হচ্ছে। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ, প্রায়ই প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন গ্রামবাসী থেকে পড়ুয়ারা। অভিযোগ, পঞ্চায়েতে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাশ্যপপুরের ঘটনা।

উত্তর কাশ্যপপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে কিশোরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশের তিনটি গ্রাম থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা পড়তে আসে। বিদ্যালয়ে আসতে হলে তাদের উত্তর কাশ্যপপুরের রাস্তা দিয়েই আসতে হয়। এই গ্রামে কিছুটা ঢালাই রাস্তা থাকলেও কিছুটা রাস্তা এখনও ইট বিছানো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে ইটগুলি উঠে গিয়েছে। রাস্তায় জল জমে কাদা হয়ে গিয়েছে। এই কাদাজল পার হতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসী সকলেই। কাশ্যপপুরের প্রায় ৫০০ ফুট রাস্তার হাল খুবই খারাপ। এই রাস্তা পার হতে কয়েকশো পড়ুয়াকে জুতো খুলে হাতে নিয়ে যেতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত দোষ চাপিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের উপর। উত্তর কাশ্যপপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির পম্পা গোঁড়া বলেন, ‘‘গত এক বছর ধরে উত্তর কাশ্যপপুরের বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের জন্য বলেছি। কিন্তু প্রধান কোনও কাজ করছেন না।’’ পম্পা গোঁড়া আরও বলেন, ‘‘উত্তর কাশ্যপপুরের মানুষরা ভোটে বিজেপিকে জয়ী করে পঞ্চায়েতে পাঠিয়েছেন। তৃণমূল চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে। আমরা পঞ্চায়েত বিরোধী বলে প্রধান আমাদের গ্রামে কোনও কাজ করেননি। এক বছর আগে এলাকার মানুষ রাস্তা মেরামতির জন্য গণ স্বাক্ষর করে প্রধানকে জমা দেন। তার পরেও কাজ হয়নি।’’

কিশোরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মদন মোহন কাজি বলেন, ‘‘প্রায়ই ছেলেরা জলকাদা মেখে স্কুলে আসে।’’ তিনি জানান, তিনি নিজেও কয়েকদিন আগে স্কুলে আসার সময় বাইক নিয়ে পড়ে যান।

উত্তর কাশ্যপপুর গ্রামের বাসিন্দা কালীশঙ্কর কর বলেন, ‘‘রাস্তা সংস্কারের জন্য বহুবার পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। বারবার আশ্বাস দিলেও কোনও কাজ হয়নি।’’

চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল হক মোল্লা বলেন, ‘‘রাস্তার বিষয়টি আমার নজরে আছে। ওই গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা ঢালাই করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গা বাকি আছে ঠিকই। সাধারণত রাস্তার কাজ একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে করানো হয়। কিন্তু বর্তমানে পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ আছে। ফলে ওই রাস্তার মেরামতি করা যায়নি। অন্য কোনও ফান্ড থেকে রাস্তা সংস্কার করা যায় কি না, সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতে আলোচনা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uluberia Waterlogging
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE