হোমে মহকুমাশাসক। ছবি: সুব্রত জানা।
বাগনানের ইটিন্ডা হোম পরিদর্শন করে সেখানকার পরিবেশ নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মহকুমা শাসক।
উলুবেড়িয়ার এই হোমে ১৮ বছরের নীচে পথশিশুদের রাখা হয়। দিন কয়েক আগে হোম থেকে ২১জন আবাসিক পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে পুলিশ উদ্ধার করলেও এই ঘটনায় সামনে চলে আসে হোমের অব্যবস্থার ছবি। হোমের খাবার দাবার থেকে নানা বিষয়ে অভিযোগ করেছে আবাসিকরা। এর প্রেক্ষিতে সোমবার হোম পরিদর্শনে আসেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক অংশুল গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাগনান-২ এর বিডিও প্রণব মণ্ডল। হোম ঘুরে দেখে, আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অংশুলবাবু বলেন, ‘‘এই প্রথম নয়, এর আগেও হোম পরিদর্শনে এসে কর্তৃপক্ষকে এ সব বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেইমতো কোনও কাজই হয়নি। আবাসিকদের থাকার পরিবেশ, খাদ্য সহ নানা বিষয়ে ত্রুটি দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, হোমে দুটি তিনতলা ভবন রয়েছে। যে ভবনের ঘরের জানালার গ্রিল ভেঙে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২১ জন আবাসিক পালিয়ে যায়, এদিন সেই ঘরটি দেখেন মহকুমা শাসক। এরপর একে একে অন্য একটি ভবন, রান্নাঘর, শৌচালয়, আবাসিকদের থাকার ঘর দেখেন তিনি। একটি ঘরে দেখা যায় ৫০ জন আবাসিক। অথচ বিছানার সংখ্যা তার অর্ধেক। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মহকুমাশাসক। আবাসিকদের খাওয়ার চালের মান নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মহকুমাশাসকের কাছে হোমের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, হোমের বর্জ্য অন্যের জায়গায় ফেলা হয়। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। হোমের অন্যতম কর্তা কাকলি মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা আবাসিকদের প্রতি যথাসাধ্য নজর রাখি। নতুন ভবন তৈরি হলেই সকলকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। পুরনো ভবনে আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা করায় সব বিছানা পাতা হয়নি। বর্জ্য ফেলার বা নিকাশির সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাদেরও তা জানিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy