প্রতীকী চিত্র
বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বর্ধিত বেতন জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দেওয়ার কথা। হাওড়ার অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা সেই বেতন পেয়েছেন বলেই খবর জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরের। তবে ব্যতিক্রম বাগনান দক্ষিণ ও পশ্চিম চক্রের অধীন ৯৯টি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। এই বিভেদের কারণে ক্ষুব্ধ ওই দুই চক্রের প্রায় ৪০০ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বেতন কমিশনে দু’ধরনের কাঠামো করা হয়। তার মধ্যে কোনটি শিক্ষকরা নেবেন, তার জন্য ‘অপশন’ দিতে বলা হয় শিক্ষকদের। অনেকেই আবার দু’টি কাঠামোতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা কোনও অপশন দেননি। তাঁদের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। ফলে সেইসব শিক্ষকেরা বর্ধিত বেতন পাননি। কিন্তু যাঁরা অপশন দিয়েছেন তাঁরা সকলেই বর্ধিত বেতন পেয়েছেন।
বাগনান দক্ষিণ ও পশ্চিম চক্রের শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁরা সকলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপশন দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তাঁরা বর্ধিত বেতন পাননি। তাঁরা সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন এই দু’টি চক্রের দায়িত্বে থাকা সার্কেল ইনস্পেক্টরের ঘাড়ে। তাঁদের বক্তব্য, অপশন ফর্ম পূরণ করে তাঁরা তা জমা দিয়েছিলেন সার্কেল ইন্সপেক্টরের কাছে। তাঁরই দায়িত্ব ছিল সেটির প্রক্রিয়া করা। কিন্তু সেটা তিনি না করার ফলেই তাঁরা বর্ধিত বেতন পাননি। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘আমাদের পাশের চক্রের শিক্ষকেরা বর্ধিত বেতন পেয়ে গেলেন। আর আমরা পেলাম না। কতটা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে সেটাও জানতে পারলাম না।’’
বাগনান দক্ষিণ ও পশ্চিম চক্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল ইন্সপেক্টর সন্তু ফৌজদার অবশ্য সব দায় চাপিয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপরে। তিনি বলেন, ‘‘ইন্টারনেটের গোলযোগের জন্যই এই বিপত্তি। আগামী মাস থেকে তাঁরা বর্ধিত বেতন হাতে পেয়ে যাবেন।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) বাদল পাত্র বলেন, ‘‘ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy