লাগাতার আন্দোলনের ফল মিলল!
ডানকুনি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি বাড়ল। একই সঙ্গে তাঁদের অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর স্ত্রী-র চাকরির দাবিও পূরণ হল। তৃণমূল প্রভাবিত পুরকর্মী সংগঠনের হুগলি জেলা সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুর-কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছেন। কর্মীরা যে সত্যিই বঞ্চিত হচ্ছিলেন, সেটা প্রমাণিত হল। এটা আন্দোলনের জয়।’’ পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বলেন, ‘‘বরাবরই আমরা কর্মীদের পাশে আছি। ওঁদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’’
অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ, সচিত্র পরিচয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা-সহ নানা দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভায় আন্দোলন করছিল দলেরই পুরকর্মী সংগঠন। চলতি মাসের শুরু থেকে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে। পুরসভার সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিষেবা লাটে ওঠে। দাবি মেটানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরভবনে বৈঠক হয়। পুরপ্রধান এবং অন্য কাউন্সিলরদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার। পুরসভা সূত্রের খবর, আলোচনায় ঠিক হয় অস্থায়ী কর্মীদের দৈনিক মজুরি ৩৫ টাকা বাড়ানো হবে। যে কর্মীরা ২২১ টাকা পেতেন, তাঁরা এখন থেকে ২৫৬ টাকা পাবেন। সুপারভাইজারদের মজুরি ২৫৭ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ২৯২ টাকা। অস্থায়ী অফিসকর্মীদের বেতন মাসে দেড় হাজার টাকা বাড়ছে। সবাইকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা হবে। দেওয়া হবে সচিত্র পরিচয়পত্র। স্থায়ীকর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হলে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মীদের সুযোগ দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy