পুরনো সেতুর হাল খারাপ হওয়ায় নতুন সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমি জটের কারণে নতুন সেতুর কাজ থমকে যাওয়ায় ফের ভাঙাচোরা পুরনো সেতু দিয়েই গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ছবিটা হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় দামোদর নদের উপর বকপোতা সেতুর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’মাস আগে হাওড়া ও হুগলির মধ্যে যোগাযোগের পুরনো সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সেতুর যে অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল, সেই অংশ লোহার পাত দিয়ে শক্তপোক্ত করা হয়েছে। সেতুর রাস্তাও সংস্কার করা হয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নতুন সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত পুরানো সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি চলবে। সুকান্ত ভট্টাচার্য নামে স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় হাওড়া ও হুগলিতে দামোদরের পাড়ের কৃষিজীবী থেকে রোগী, সাধারণ মানুষ সকলে মানুষের খুব উপকার হল।’’
বেহাল পুরনো সেতু দিয়েই চলছে যানবাহন।
সেতুর একটি অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ২০১৪ সালের মে মাসে সেতু দিয়ে চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় পূর্ত (সড়ক) দফতর। ওই সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। গোড়ায় জমি নিয়ে জটে কিছু দিন কাজ আটকে ছিল। তারপরে ফের কাজ শুরু হলেও সম্প্রতি জমি নিয়ে সমস্যায় নতুন সেতুর কাজ আটকে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, চণ্ডীচরণ সাধুখাঁ এবং দীপেন আশ নামে দুই গ্রামবাসী প্রকল্পের জমিতে চাষ শুরু করে দিয়েছেন। তাতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। চণ্ডীচরণবাবুর দাবি, ‘‘অধিগ্রহণ করা জমির পরিবর্তে পাশে আমার জমিতে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এতা তী করে হতে পারে? তেমন হলে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে দেখিয়ে আমাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’’ দীপেনবাবুর বক্তব্য, ‘‘বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জমি অধিগ্রহণের কোনও টাকা আমি পাইনি। কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশাসনের লোকজন কোনও সদুত্তর দিচ্ছেন না। তাই জমিতে চাষ শুরু করেছি।’’
হুগলির দিকে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য ১২ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের দাবি, বর্গাদার থেকে জমির মালিক সকলেই ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পেয়ে গিয়েছেন। দুই চাষির অভিযোগ প্রসঙ্গে জাঙ্গিপাড়ার বিডিও জামিল আখতার বলেন, ‘‘সমস্যার কিছু নেই। শীঘ্রই মিটে যাবে। নতুন সেতুর কাজও শুরু হবে।’’