Advertisement
০৫ মে ২০২৪

লিলুয়া হোমে অপমৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন

এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বারান্দায় আলোর রড থেকে ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নার্গিসের ঝুলন্ত দেহ দেখেন অন্য আবাসিকেরা। বেলুড় থানার পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা নার্গিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৭
Share: Save:

খাবারের মান খারাপ, থাকার জায়গা অস্বাস্থ্যকর-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আবাসিক পালানোর ঘটনা বেশ কয়েক বার ঘটেছে লিলুয়া হোমে। সেই চিত্র বদলাতে ও আবাসিকদের স্বাবলম্বী করে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরেও মঙ্গলবার সেখানেই এক তরুণী আবাসিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।

হোম সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে গোলাবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নার্গিস খাতুন নামে ওই তরুণী। মেয়েটি জানায়, তার বাড়ি উলুবেড়িয়ার বলরামপোঁতায়। যদিও সেই ঠিকানায় নার্গিসের পরিজনের সন্ধান মেলেনি। হোমের চাইল্ড ব্লকে অন্য আবাসিকদের সঙ্গেই থাকত ১৬ বছরের ওই তরুণী।

এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বারান্দায় আলোর রড থেকে ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নার্গিসের ঝুলন্ত দেহ দেখেন অন্য আবাসিকেরা। বেলুড় থানার পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা নার্গিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, প্রায় চার বছর বন্দি থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই তরুণী। তার জন্যই সে আত্মহত্যা করেছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

এ দিন খবরটি জেনেই রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও নারী-শিশু দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা তদন্তের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশে লিলুয়া হোমে পৌঁছে যান দফতরের আধিকারিকেরা। শশীদেবী বলেন, ‘‘আবাসিকদের সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে দিতেই লিলুয়া হোমের মানোন্নয়নের জন্য এত কিছু করা হচ্ছে। তার পরেও কেন এমন ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। যত শীঘ্র সম্ভব আধিকারিকদের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE