Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডানলপ কারখানায় চুরি করতে গিয়ে গুলিতে জখম

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৬ জনের দুষ্কৃতীদলটি সাহাগঞ্জের কারখানায় চুরির মতলবে ঢোকে। তবে অন্য দিনের মতো চুরি করে উঠতে পারেনি তারা। রুখে দাঁড়ান কর্তব্যরত বন্দুকধারী জয়ন্ত মণ্ডল। সেই গুলিতেই সোহন মাঝি জখম হয়।

জখম: হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জখমকে। নিজস্ব চিত্র

জখম: হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জখমকে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাহাগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০০:৫৮
Share: Save:

বন্ধ ডানলপ কারখানায় দলবল নিয়ে হানা দিয়েছিল এলাকার চোর সহন মাঝি। কিন্তু রাত প্রহরীদের নজর সে এড়াতে পারেনি। ধরা পড়ার ভয়ে প্রথমে রক্ষীদের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে সে। তাতেও নিরস্ত হয়নি প্রহরীরা। সেই দেখে তার দলবলেরা পিঠটান দেন। সঙ্গীরা পালাতেই কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েই এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে বসে সহন। তাতে ফল হয় উল্টো। পাল্টা জবাবে প্রহরীদের দিক থেকে ছররা গুলি উড়ে আসে। সোমবার রাতে সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার ঘটনা। আর সহন এখন শ্রীঘরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৬ জনের দুষ্কৃতীদলটি সাহাগঞ্জের কারখানায় চুরির মতলবে ঢোকে। তবে অন্য দিনের মতো চুরি করে উঠতে পারেনি তারা। রুখে দাঁড়ান কর্তব্যরত বন্দুকধারী জয়ন্ত মণ্ডল। সেই গুলিতেই সোহন মাঝি জখম হয়। পুলিশকে এড়াতে সে সারা রাত কারখানা লাগোয়া জঙ্গলে পড়ে থাকে।

মঙ্গলবার দুপুরে কোনওক্রমে ডানলপ হিন্দি মাধ্যম স্কুলের বারান্দার পাশে বসেছিল সহন। কিন্তু স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের নজরে আসে ওই জখম দুষ্কৃতীকে। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান। সহনের পিঠে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে পৌঁছে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই জখম দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছড়রা গুলিতে তার সারা পিঠে বেশ কয়েকটি ফুটো হয়ে গিয়েছে।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসার পর ধৃতের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। চুঁচুড়া হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় তার চিকিৎসা চলছে। আহত দুষ্কৃতী এর আগেও ডানলপ কারখানায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছে সে।

ডানলপ হিন্দি স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ‘‘স্কুলের বারান্দার পাশে আহত অবস্থায় পড়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম দুর্ঘটনায় বোধ হয় কেউ জখম হয়েছে। এরপর আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।’’

নিরাপত্তা কর্মী জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতে দলটাকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম তাড়িয়ে দেব। কিন্তু তাতে ওরা পাল্টা গুলি চালাল। আমি আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাই। কিন্তু একজন যে জখম হয়েছিল তা রাতে তখন জানতে পারিনি। সকলকে বেরিয়ে যেতে দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম যে সকলে পালিয়ে গিয়েছে। পরে জানতে পারি একজন জখম হয়েছে।’’

পুলিশের এক কর্তা জানান,‘‘ধৃত দুষ্কৃতী একটু সুস্থ হয়ে উঠলে বাকিদের পরিচয় জানা যাবে। আমরা বাকিদের খোঁজে তখনই তল্লাশি শুরু করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE