Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিনা লড়াইয়ে ১৪ আসনে দুই পুরসভায় জয়ী তৃণমূল

ভোটের আগেই আরামবাগ পুরসভার প্রায় অর্ধেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শুক্রবার বিরোধী দলের ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাস করে তাঁদের মনোনয়ন তুলতে বাধ্য করিয়েছে শাসক দল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তারকেশ্বর পুরসভাতেও ১৫টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০১:৪০
Share: Save:

ভোটের আগেই আরামবাগ পুরসভার প্রায় অর্ধেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শুক্রবার বিরোধী দলের ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাস করে তাঁদের মনোনয়ন তুলতে বাধ্য করিয়েছে শাসক দল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তারকেশ্বর পুরসভাতেও ১৫টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল।

এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে দেখা গেল, তৃণমূল নেতাদের তদারকিতেই আরামবাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি প্রার্থীরা আসছেন। প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে তাঁদের মিষ্টিমুখও করানো হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন নন্দী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সমীর ভাণ্ডারী, ৪ নম্বরের সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়, ৯ নম্বরের হিমাংশু মালিক, ১১ নম্বরের মীরা ঘোড়ুই, ১২ নম্বরের কৃষ্ণ বারিক, ১৪ নম্বরের মিনতি দলুই এবং ১৭ নম্বরের সুজিত রেজা।

বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি অসিত কুণ্ডুর অভিযোগ, “বুধবার রাত থেকে আমাদের প্রার্থীদের উপর তৃণমূলের হামলা চলছে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করছে না। প্রার্থীদের ঘর থেকে তুলে এনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করানো হচ্ছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের কাছে আমাদের প্রার্থীরা পরাস্ত।” একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা প্রভাত ভট্টাচার্যেরও।

অভিযোগ উড়িয়ে আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার দাবি, “আমরা যে উন্নয়ন করছি, তা বিরোধী প্রার্থীদের বোঝানো হয়েছিল। তাঁরা স্বেচ্ছায় প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নেন।” বিরোধী প্রার্থীদের অনেকেই জানান, সন্ত্রাস ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাঁরা মনোনয়ন তুলেছেন।

তারকেশ্বরের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধীদের মনোনয়নই জমা পড়েনি। সন্ত্রাস করে বিরোধী প্রার্থীদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ দিন ৫, ৮, ১০ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিরোধীরা মনোনয়ন তুলে নেন। ফলে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত-সহ ৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE