অপেক্ষা একটা মিসড্ কলের। তারপরেই গ্রামবাসী দেখবেন, পরিষেবা দোরগোড়ায়! ঘরে ঘরে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার এমনই দাবি শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের।
রবিবার ওই পঞ্চায়েতে ‘মিসড্ কল পরিষেবা’ চালু হল।
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থায় গ্রামবাসীরা নির্দিষ্ট একটি নম্বরে মিসড্ কল দিলেই এসএমএসের মাধ্যমে প্রাপ্তিস্বীকার করা হবে। তার পরেই টেলিকলার সংশ্লিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানবেন। সমস্যার রকমফের অনুযায়ী দু’ঘণ্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সমস্যা অপেক্ষাকৃত বড় হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ভাবে অভিযোগও জানানো যাবে। প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রাখা হবে।
পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত প্রধান আচ্ছালাল যাদবের কথায়, ‘‘মানুষকে সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েতে আসতে হয়। এখন সমস্যা বা অসুবিধা জেনে আমাদের পঞ্চায়েতই গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করবে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, জল বা বিদ্যুতের ছোট সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। কোনও ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনে পঞ্চায়েতের তরফে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কেউ ট্যাক্স দিতে চাইলে বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহ করা হবে। প্রধানের দাবি, এই ব্যবস্থায় বয়স্ক বা সহায় সম্বলহীন অসুস্থ মানুষকেও পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘ কোনও অসুস্থ মানুষের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কাজে সাহায্য দরকার, কোনও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার আয়া প্রয়োজন। আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। মানুষের পাশে থাকতে এই পরিষেবা আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হবে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, প্রথম দিন সত্তরটির বেশি ফোন আসে। বেশির ভাগই অবিলম্বে নৈটি রোড সংস্কারের দাবিতে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও ফোন এসেছিল।
পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নৈটি রোড সংস্কার প্রশাসনের অন্য দফতরের দায়িত্ব। তবে রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা ভেবে খানাখন্দে জোড়াতালি দেওয়ার কাজ পঞ্চায়েত করছে। কয়েক দিনেই কাজ শেষ হবে। নিকাশির বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল, মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ার সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।
এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy