আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত প্রজাতির ধান চাষের শিবির শুরু হয়েছে সাঁকরাইল ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েতে। শিবিরগুলি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষ মিশনের অন্তর্গত। ইতিমধ্যেই কান্দুয়া, নলপুর, দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে এই শিবির হয়েছে।
ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে খবর, চাষিদের ভাল প্রজাতির ধান চাষে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ। কারণ কয়েক বছর ধরে দেশীয় পদ্ধতিতে ধান চাষে ফলনে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সাঁকরাইল ব্লকের এক কৃষি কর্তা জানান, হাইব্রিড জাতের ধান চাষে সময় কম লাগে। ফলনও ভাল হয়। এছাড়াও রয়েছে এসআরআই পদ্ধতি। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ১২ দিন বয়সের ধান চারাকে সম দূরত্ব বজায় রেখে জমিতে রোপণ করতে হবে।
সাঁকরাইল ব্লক কৃষি আধিকারিক পরিমল সাহা বলেন, ‘‘এই শিবিরগুলিতে গিয়ে আমরা চাষিদের ধান বীজের কী ভাবে যত্ন নিতে হবে সেটা শেখানোর চেষ্টা করছি। ধান চাষে গভীর নলকূপের জল ব্যবহার করা উচিত। বীজ রোপণের আগে সেগুলিকে ভাল করে শোধন করতে বলা হচ্ছে। তাতে ফলন অনেক ভাল হবে।’’ তিনি জানান, ব্লক কৃষি দফতর থেকেই বিনামূল্যে উন্নত প্রজাতির ধানের বীজ এবং কীটনাশক দেওয়া হয়। বর্তমানে কৃষি দফতরের উদ্যোগে বিনামূল্য ধান ঝাড়াই মেশিন-সহ কয়েকটি ছোট কৃষি যন্ত্রপাতি ও ভর্তুকির মাধ্যমে পাম্প সেট-সহ বড়ো যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলি না জেনেই অনেক চাষি অসাধু ব্যবসায়ীর থেকে টাকা ধার নিয়ে ধান বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি কেনেন।
ভাল মানের বীজ চেনার উপায় হিসাবে কৃষি কর্তারা জানান, খোলা বাজার থেকে বীজ কেনার সময় বস্তার মুখ ভাল করে সেলাই করা রয়েছে কি না এবং সেলাইয়ের মধ্যে সাদা ও সবুজ রংয়ের দু’টি ছোট কার্ড রয়েছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে। কৃষি কর্তারা জানান, প্রতি কেজি ধান বীজে আড়াই গ্রাম কীটনাশক মিশিয়ে জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেই বীজ রোপণ করলে ফলন ভাল হবে। চলতি মাসেই আরও কয়েকটি শিবির হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy