Advertisement
E-Paper

স্থায়ী ত্রাণ শিবিরের দাবি আরামবাগে

দ্বারকেশ্বর নদটি আরামবাগ ব্লকের বেড়াবেড়ে এবং ডহরকুণ্ডু গ্রাম ছুঁয়ে খানাকুলের পশ্চিমের গ্রামগুলির পাশ দিয়ে রূপনারায়ণে মিশেছে। প্রতি বছরেই দিন কয়েকের টানা বৃষ্টির পরেই এই গ্রামগুলি প্লাবিত হয়। তখন গ্রামবাসীদের নৌকা করে তুলে আনা হয় উঁচু কোনও স্থানে। জল নামলে আবার বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৪:০০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ফি বর্ষায় জল বাড়ে দ্বারকেশ্বরের। প্লাবিত হয় এলাকা। কিন্তু সেখানে এখনও তৈরি হল না কোনও স্থায়ী ত্রাণ শিবির। ফের বর্ষা এসেছে। আবার ঠাঁইহারা হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন আরামবাগের সালেপুর ২ পঞ্চায়েতের বেড়াবেড়ে এবং ডহরকুণ্ডু গ্রামের মোট ৮৯টি পরিবার।

দ্বারকেশ্বর নদটি আরামবাগ ব্লকের বেড়াবেড়ে এবং ডহরকুণ্ডু গ্রাম ছুঁয়ে খানাকুলের পশ্চিমের গ্রামগুলির পাশ দিয়ে রূপনারায়ণে মিশেছে। প্রতি বছরেই দিন কয়েকের টানা বৃষ্টির পরেই এই গ্রামগুলি প্লাবিত হয়। তখন গ্রামবাসীদের নৌকা করে তুলে আনা হয় উঁচু কোনও স্থানে। জল নামলে আবার বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। বহু বছর ধরে এই গ্রামগুলির বর্ষার দিনলিপি এটাই।

বেড়াবেড়ে গ্রামের সুজিত মাজি, বাপ্পা জানা, ডহরকুণ্ডু গ্রামের অরবিন্দ বেরা, মহেন্দ্র ভৌমিকদের ক্ষোভ, তাঁরা বহু বছর ধরে পুনর্বাসন এবং ত্রাণ শিবিরের দাবি করছেন। কিন্তু এত দিনেও কিছু হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি আমাদের বিপন্নতা টিকিয়ে রেখে আমাদের জন্য বরাদ্দ ত্রাণ সামগ্রী-সহ সরকারি সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে।’’

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তৃণমূল পরিচালিত সালেপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান ময়না দাস বলেন, “প্রায় প্রতি বর্ষাতেই ওই গ্রাম দু’টির বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই হয়। ভেসে যায় গবাদি পশু। স্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরির জন্য আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও কিছু হয়নি।’’

আরামবাগের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য জানান, ত্রাণ শিবিরের জন্য ওই এলাকার পঞ্চায়েতকে জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ডোঙ্গলের আলুপট্টির কাছে একটি জমি চিহ্নিত হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য খরচ হবে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। সেটি অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

Arambagh Flood Waterlogged আরামবাগ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy