ত্রাণ বন্টন নিয়ে বিবাদ এ বার সংঘর্ষের আকার নিল। বেধড়ক মারে অসুস্থদের হাসপাতালে পর্যন্ত পাঠাতে হয়েছে। খানাকুলের ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
শুক্রবার খানাকুলের কিশোরপুর-২-এর তালিত গ্রামে ত্রাণ বন্টনের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে থাকবে, এই নিয়ে প্রথমে বচসা শুরু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। পরে বিবাদ, সংঘর্ষের চেহারা নেয়। রাতে তালিত গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে দলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ মণ্ডলের দলবলকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠে দলেরই কার্যকরী সভাপতি দীপেন মাইতির লোকজনদের বিরুদ্ধে। আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই অভিয়োগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কিশোরপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামগুলির জন্য সম্প্রতি ১৫ বস্তা পশু খাদ্য-সহ দুধ, ২৫০ ত্রিপল, বিস্কুট ত্রাণ আসে। এদিকে পুরো অঞ্চলের মধ্যে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে তালিত গ্রামটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই ত্রাণের দাবি করেন। এ দিকে গ্রাম সংসদগুলি থেকে দাবি ওঠে, প্রতিটি এলাকায় ত্রাণের সমবন্টন করতে হবে। সেই নিয়ে পঞ্চায়েতে অশান্তি বাধে। অঞ্চল সভাপতি দিলীপ মণ্ডলের পক্ষের তালিত গ্রামের লোকরা, দলেরই কার্যকরী সভাপতি দীপেন মাইতির লোকজনদের মারধর করে বলে অভিযোগ।
এরপরেই ত্রাণ সামগ্রী বন্টনে সুরাহা খুঁজতে রাতে তালিত গ্রামের নদী বাঁধ সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে দলের পুরনো সদস্যরা বৈঠকে বসেন। অভিযোগ, দীপেন মাইতি-সহ তার দলবল দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে দলের প্রবীণদের লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।
প্রদীপবাবুর কথায়, “গ্রামবাসীদের ত্রাণের দাবি মেটানোর পথ খুঁজতেই আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। আর তার জন্য আমাদের মার খেতে হল।” অভিযোগ অস্বীকার করে দীপেনবাবু বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। স্থানীয় মানুষ ত্রাণ না পেয়ে মারধর করতে পারেন।’’ দলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ মণ্ডলের কথায়, “নেত্রী যেখানে দলের পুরনো লোকদের সম্মান করতে বলছেন, সেখানে আমাদের পেটানো হচ্ছে। দলকে সবটাই জানিয়েছি।’’