Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
স্ত্রী-মেয়েকে খুনের চেষ্টা

ডানকুনিতে ধৃত যুবক

দু’দিন আগে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মির্জাপুর-বাঁকিপুর স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে সোনি রজক নামে এক মহিলা ও তাঁর দেড় বছরের মেয়ে সুনেহাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। মহিলার অভিযোগ ছিল, দাবি মতো পণ দিতে না-পারায় স্বামী তাঁর উপরে অত্যাচার করে।

আহত: চুঁচুড়ায়। নিজস্ব চিত্র

আহত: চুঁচুড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কামারকুণ্ডু শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৯
Share: Save:

দু’দিন আগে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মির্জাপুর-বাঁকিপুর স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে সোনি রজক নামে এক মহিলা ও তাঁর দেড় বছরের মেয়ে সুনেহাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। মহিলার অভিযোগ ছিল, দাবি মতো পণ দিতে না-পারায় স্বামী তাঁর উপরে অত্যাচার করে। মেয়ে হওয়ার পরে সেই অত্যাচার বাড়ে। তার জেরেই ট্রেন থেকে ফেলে স্বামী তাঁদের খুনের চেষ্টা করে। শনিবার ডানকুনির বাসিন্দা, অভিযুক্ত বিজয় রজককে রেল পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত দোষ কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের।

সোনি ও বিজয় দু’জনেই আদতে বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা। বছর পাঁচেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। পণ না-পাওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হচ্ছিলই। বছরখানেক আগে বিজয় ফের বিয়ে করে। ফলে অশান্তি বাড়ে।

বৃহস্পতিবারও দু’জনের বচসা হয়। অন্যত্র ভাড়া থাকার কথা বলে বিজয় সে দিন বেলা ১১টা নাগাদ স্ত্রীকে নিয়ে ডানকুনি থেকে বর্ধমানগামী ট্রেনে ওঠে। দু’-একটি স্টেশন পরে নেমে যায়। এর পরে আপ চন্দনপুর লোকালে উঠে চন্দনপুরে যায়। কিছুক্ষণ পরে ট্রেনটি ডাউন হাওড়া লোকাল হয়ে ছাড়ে। এ বার স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে ওই ট্রেনে ওঠে বিজয়। ফাঁকা ট্রেনে দরজার কাছে দাঁড়িয়েছিল দম্পতি। মেয়ে ছিল সোনির কোলে। অভিযোগ, মির্জাপুর-বাঁকিপুর স্টেশনের কাছে স্ত্রী-মেয়েকে ঠেলে ফেলে দেয় বিজয়।

শিশুটির হাত-পা, মুখে, মাথায় চোট লাগে। সোনির হাত-পা, কোমর, মাথায় আঘাত লাগে। শুক্রবার রাতে সোনির দাদা রাজেশ কুমার কামারকুণ্ডু জিআরপিতে বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিজয়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন-সহ চারটি ধারায় মামলা রুজু করে করে পুলিশ। ধৃতকে শনিবারই চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল-হাজত হয়। সোনি বলেন, ‘‘স্বামী গাড়ি কেনার জন্য বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলত। আমাকে মারধর করে। মেয়েকেও দেখতে পারে না। সে দিন আচমকাই ট্রেন‌ থেকে ফেলে দিল।’’ বিজয়ের মা প্রতিমা রজকও বলেন, ‘‘ছেলে নাতনিকে ভালবাসে না। বৌমাকে মারে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছিলাম। ছেলে শোনেনি।’’

তদন্তকারীরা জানান, জেরায় ধৃত দাবি করেন, স্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়াঝাটি করতেন। এতে তিনি তিতিবিরক্ত। সেই রাগেই পরিকল্পনা করে ওই ঘটনা ঘটান। তবে, মেয়েকে তিনি ভালবাসেন বলে দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE