Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগে গ্রেফতার

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাস চারেক আগে ডোমজুড়ের এক নাবালিকাকে রাজস্থানের জয়পুরে নিয়ে গিয়েছিল জগৎবল্লভপুরের হাটালের এক যুবক। কিন্তু দিন দশেক আগে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে ওই যুবক অনেক আগেই বিবাহিত। এর পরেই থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ওই নাবালিকাকে জয়পুর থেকে উদ্ধার করে এনেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমজুড় শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০২:০৭
Share: Save:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাস চারেক আগে ডোমজুড়ের এক নাবালিকাকে রাজস্থানের জয়পুরে নিয়ে গিয়েছিল জগৎবল্লভপুরের হাটালের এক যুবক। কিন্তু দিন দশেক আগে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে ওই যুবক অনেক আগেই বিবাহিত। এর পরেই থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ওই নাবালিকাকে জয়পুর থেকে উদ্ধার করে এনেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সোমনাথ পাত্র নামে অভিযুক্ত যুবককে। সোমবার অভিযুক্তকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নিয়ে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর একুশের সোমনাথ রাজস্থানে জরির কাজ করে। মাস চারেক আগে স্থানীয় একটি মেলায় তার সঙ্গে ওই নাবালিকার আলাপ হয়। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আলাপের পাঁচ দিন পরেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নাবালিকাকে রাজস্থানের জয়পুরে নিয়ে চলে যায় সোমনাথ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি নাবালিকার পরিবার জানতে পারে সোমনাথ বিবাহিত। তার আগের স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালানোয় সে বাপের বাড়ি চলে যায়। এর পর নাবালিকাটির পরিবার সোমনাথের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে জয়পুর যায় ডোমজুড় থানার একটি দল। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ওই নাবালিকাকে আদৌও বিয়ে করেনি সোমনাথ। তবে সে তার সঙ্গেই ছিল। সোমনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়। রবিবার দু’জনকে নিয়ে ডোমজুড়ে ফেরে পুলিশ।

প্রায় অচেনা একটি ছেলে তাঁদের মেয়েকে ভিন রাজ্যে নিয়ে চলে যাওয়ার পরেও চার মাস ধরে পরিবারটি চুপ থাকলেন কেন? পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে নাবালিকার এক আত্মীয়ের দাবি, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। জেনেছিলাম ছেলেটি ভাল। বাইরে নিয়ে গিয়ে আমাদের মেয়েকে ভালই রাখবে। পরে ভুল ভাঙে। পুলিশ ঠিক সময়ে উদ্ধার না করলে হয়তো ওকে বেচেই দিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE