ভাঙচুর হয় এই চায়ের দোকানে। — নিজস্ব চিত্র।
তারকেশ্বরে জল ঢালতে যাওয়ার সময়ে নিখোঁজ এক যুবকের দেহ উদ্ধার হল মঙ্গলবার। দেহ উদ্ধারের পরেই দোকানে ভাঙচুর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেলের বালিকাটায়। মৃতের নাম সোনু মালিক (২৫)। বাড়ি ব্যান্ডেলের সাহেব বাগান জেলেপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে জল ঢালতে তারকেশ্বরে গিয়েছিলেন সোনু। সোমবার বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ হরিপালের বেলেচোঙা ও নন্দকুঠির মাঝে একটি ঝোপের মধ্যে মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। একটা দেহ উদ্ধার হয়েছে খবর পেয়েই সোনুর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি সনাক্ত করেন। পুলিশ জানায়, মৃতের মাথায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানোর দাগও আছে। মৃতের বিরুদ্ধে থানায় অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, তাঁকে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
তবে দেহ উদ্ধারের সঙ্গে দোকান ভাঙচুরের সম্পর্ক কী? সোনুর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই মঙ্গলবার সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে এক শ্যামা মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধা গালিগালাজ করেন। তখন ক্ষিপ্ত লোকজন তাঁর চায়ের দোকান ভাঙচুর চালায়। আক্রান্ত ওই পরিবারের দাবি, কোনও কারণ ছাড়াই সকালে তাদের উপরে হামলা চালায় একদল যুবক। দোকানে ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরও করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্যামাদেবীর ছোট ছেলে সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘তিন বছর আগে এলাকায় হেরোইন বিক্রি বন্ধের প্রতিবাদ করায় দাদা খুন হন। কিন্তু এ দিন কেন আমাদের দোকানে হামলা চালানো হল বুঝতে পারছি না। হঠাৎ কিছু যুবক দোকানটা ভাঙচুর করছে দেখে আমার স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তাকে হেনস্থা করে হামলাকারীরা। এর পরে আমাকে দেখে রাস্তায় ফেলে মারধর করে তারা।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘ব্যান্ডেলে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় হরিপালে একটি মাঠের পাশ থেকে। এই ঘটনার খবর পৌঁছতে এলাকার কিছু যুবক কিছু দোকান ভাঙচুর চালায়। সব দিক খতিয়ে তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy