Advertisement
E-Paper

কাটা গাছ সরাবে পঞ্চায়েত সমিতি

তারকেশ্বরের বালিগোড়ি-২ পঞ্চায়েতে গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক মেটাতে হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। মঙ্গলবার এক বৈঠকে ‘বেআইনি’ ভাবে কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি সরানোর দায়িত্ব পঞ্চায়েতের হাত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির হাতে দেওয়া হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েতে ১২ নম্বর রুটের ধারে কিছু গাছের ডাল কাটতে সম্প্রতি পঞ্চায়েতের তরফে টেন্ডার ডাকা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪০

তারকেশ্বরের বালিগোড়ি-২ পঞ্চায়েতে গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক মেটাতে হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। মঙ্গলবার এক বৈঠকে ‘বেআইনি’ ভাবে কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি সরানোর দায়িত্ব পঞ্চায়েতের হাত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির হাতে দেওয়া হল।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েতে ১২ নম্বর রুটের ধারে কিছু গাছের ডাল কাটতে সম্প্রতি পঞ্চায়েতের তরফে টেন্ডার ডাকা হয়। রাস্তা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই কারণেই সরকারের নির্দেশে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ, ডাল কাটার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বেশ কয়েকটি গাছ গুঁড়ি থেকে কেটে নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে বাধা দেন। তা নিয়েই গোলমাল বাধে। পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই বেআইনি ভাবে গাছ কাটা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এক দল গ্রামবাসী বিভিন্ন সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হন। রবিবার সকালে ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার ধারে কেটে রাখা গুঁড়ি সরাতে এলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। ঠিকাদারের দুই কর্মী গ্রামবাসীদের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। স্থানীয় ভাবে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী গোলমালে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সোমবার রাতেও এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বোমা পড়ে। একটি মোটরবাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পরেই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মঙ্গলবার বিকেলে তারকেশ্বর ব্লক অফিসে প্রশাসনের তরফে বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে বিডিও প্রভাংশু হালদার ছাড়াও চন্দননগরের মহকুমাশাসকের প্রতিনিধি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুমনা ঘোষ, পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় বেলেলও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ির ব্যাপারটি পঞ্চায়েত সমিতিই ঠিক করবে। ওই জায়গায় বৃক্ষরোপণও করবে তারা।

বিডিও অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনাদের বলব কেন?’’ পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরাই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেন। পঞ্চায়েত সমিতি ওখানে গাছ লাগাবে।’’

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুমনা ঘোষ বলেন, “বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছের গুঁড়িগুলি আমরা নিলামে বিক্রি করব। ওই জায়গায় মেহগনি, আকাশমণি জাতীয় গাছ লাগানো হবে। বাকি টাকায় এলাকার উন্নয়ন হবে। এ জন্য পাঁচ জনের কমিটি গড়া হবে।” প্রধান অবশ্য দাবি করেছেন, “গাছের গুঁড়ির বিষয়টি বিডিও নিজের হাতেই রেখেছেন।”

southbengal illegal cutting of trees tarakeswar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy