কলেজের ভিতরে ঘেরাও হয়ে আছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বুধবার রাতে সুব্রত জানার তোলা ছবি।
প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ ঘেরাও-বিক্ষোভ তুলে নিলেন ছাত্রছাত্রীরা। প্লেসমেন্টের জন্য ক্যাম্পাসিংয়ের দাবি তুলে বুধবার দুপুর থেকে অধ্যক্ষ-সব অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মীদের ঘেরাও করে রেখেছিলেন উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে তাঁদের শিক্ষার মেয়াদ শেষ হতে চললেও কোনও সংস্থাই তাঁদের ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য কলেজে আসেনি। এ জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন তাঁরা।
বুধবার কলেজের অধ্যক্ষ-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্য কর্মীদের ঘেরাও করে রাখার খবর পেয়ে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ কলেজে যায়। কিন্তু অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘেরাওমুক্ত করতে কোনও ব্যবস্থা নয়নি। যদিও পুলিশের বক্তব্য, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে এ ধরনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি। তা ছাড়া এটা কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, ঘেরাও করে রাখা হলেও অধ্যক্ষ-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজে কোনও বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। তাঁরা খাওয়া-দাওয়াও করেছেন।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা সকলেই জয়েন্টে উত্তীর্ণ হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। কলেজের প্রসপেক্টাসে নানারকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে সবের কিছুই পালন করা হচ্ছে না। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ চতুর্থ বর্ষ থেকেই কাউন্সেলিং-এর জন্য বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থার কলেজে আনাগোনা শুরু হয়। কিন্তু কলেজে তাঁদের শিক্ষার মেয়াদ শেষ হতে চললেও এই মরসুমে কোনও সংস্থাই আসেনি। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহ্গে তাঁরা আলোচনা চাইলে কর্তৃপক্ষ আজ নয়, কাল এই বলে টালবাহানা করে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের কোনও হেলদোল নেই।
বুধবার রাতভর ঘেরাওয়ের ঘটনায় বৃহস্পিতবার সকালে উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে কলেজে পাঠান। এর পরে ম্যাজিস্ট্রেটেটের উপস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানে ঠিক হয় ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসিং ও প্লেসমেন্ট নিয়ে তাঁদের জানাবেন।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সজলকুমার গিরি বলেন, “আমরা বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থাকে আমাদের কলেজে ক্যাম্পাসিংয়ে আসতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু সে ভাবে সাড়া মেলেনি।” তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোন কোন সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বা হবে এখন থেকে বিভিন্ন সময়ে তা ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy