যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি। ছবি: তাপস ঘোষ।
এক বৃদ্ধাকে পুজো দেখানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে গয়না ছিনতাই করে খুনের দায়ে তাঁর পড়শি দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত।
সোমবার চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ চৌধুরী হেফাজত করিম ধনেখালির দশঘরার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা বুধো দাস এবং মনোজ দুলেকে ওই সাজা শোনান। পুষ্পরানি সাধুখাঁ নামে ৮২ বছরের ওই বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ন’বছর আগে। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহরায় এবং মৌমিতা ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘গত শনিবারই বিচারক ওই দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সোমবার বিচারক দু’জনকে যাব্বজীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং ৬০০০ টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের হাজতবাস।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের ২২ জুন দশঘরার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা পুষ্পরানিদেবীকে দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রতিবেশী বুধো দাস দাসপুকুর এলাকার ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেখানোর নাম করে নিয়ে বেরোয়। কিন্তু পুষ্পরানিদেবী আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পাওয়ায় পরের দিন ধনেখালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বুধোকেও তাঁরা বাড়িতে পাননি। তার এক দিন পরে পাশের দিঘিরা গ্রামের একটি পাট খেত থেকে পুষ্পদেবীর মৃতদেহ মেলে। সেই সময়ে বৃদ্ধার গলায় থাকা সোনার হার, হাতের আংটি বা চুরি কিছুই মেলেনি। সে দিনই বুধোর নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পুষ্পদেবীর ছেলে কার্তিক। তদন্তে নেমে পুলিশ বুধোকে গ্রেফতার করে। জেরায় বুধো অপরাধের কথা কবুল করে জানায়, ছিনতাইয়ের পরে শ্বাসরোধ করে ওই বৃদ্ধাকে খুনে তার সঙ্গী ছিল মনোজ দুলে। পুলিশ মনোজকেও গ্রেফতার করে। এর পরে বুধোর কাছ থেকে পুষ্পরানিদেবীর হার এবং মনোজের কাছ থেকে আংটি ও একগাছা চুরি উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু বাকি একগাছা চুরি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। মনোজ পুলিশকে জানিয়েছিল, সে ওই চুরি ভেঙে বিক্রি করে দিয়েছে। এত দিন ওই দু’জনকে হাজতবাস করতে হচ্ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy