মৃত সঞ্জীব দাস।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের দেহ মিলল ডানকুনির পাঁচঘড়ার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সঞ্জীব দাস (২৪) নামে ওই ছাত্রের দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি ডানকুনি স্টেশনের অদূরে রায়পাড়ায়। পুলিশের অনুমান, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। তবে, মৃতের বাড়ির লোকজন এবং পড়শিরা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ঠিক কী কারণে সঞ্জীবের মৃত্যু হয়েছে, তার যথাযথ তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তাঁর ভাই সুমিত।
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত দু’টো নাগাদ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, গাড়ির ধাক্কায় রাত একটা-দেড়টা নাগাদ ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তবে, নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ ওই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বছর তিনেক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সঞ্জীব মা এবং ভাইকে নিয়ে থাকতেন। কেটারিংয়ের কাজ করে পড়াশোনা এবং সংসার চালাতেন। সুমিত জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ সঞ্জীবের মোবাইলে একটি ফোন আসে। তার পরেই তিনি বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ডানকুনি থানায় গিয়ে সঞ্জীবের দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা।
সুমিত বলেন, ‘‘যে এলাকায় দাদার দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে দাদা কখনও যেত না। বৃহস্পতিবার কী ভাবে ওখানে পৌঁছল সেটা দেখা হোক। দাদার মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। আমাদের সন্দেহ দুর্ঘটনায় দাদার মৃত্যু হয়নি। পুলিশ ভাল করে তদন্ত করে দেখুক।’’ সঞ্জীবের বন্ধুদেরও বক্তব্য, মূলত হাওড়ার দিকে কেটারিংয়ের কাজে যেতেন সঞ্জীব। ওই দিন অত রাতে পাঁচঘড়ার কাছে কী ভাবে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy