ছুরিতে গুরুতর জখম হয়েও এক যুবকের সাহসিকতায় ধরা পড়ল চোর। তাঁর চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যান। পিন্টু মাল নামে ওই দুষ্কৃতীকে গণপিটুনি দিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজারের কাছে শুঁড়িপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা আড়াইটে নাগাদ শুঁড়িপাড়ার একটি বাড়িতে চুরির মতলবে ঢোকে পিন্টু। দরজার ফাঁকে কোনও কিছু ঢুকিয়ে খিল খুলে ফেলে সে। তবে, কিছু নিতে পারেনি। দরজা খোলার শব্দে বাড়ির সদস্য সুমিত সানা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে দেখেই পিন্টু পালাতে যায়। সুমিতবাবু তাকে জাপটে ধরে ফেলেন। তখন তাঁর পিঠে ছুরি বসিয়ে দেয় পিন্টু। ঘায়েল হয়েও সুমিতবাবু হাল ছাড়েননি। পিন্টুকে প্রাণপণে জাপটে ধরে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর দাদা অমিতবাবু এবং পড়শিরা ছুটে আসেন। সকলে মিলে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপ্রহার। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
রক্তাক্ত অবস্থায় সুমিতবাবুকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। প্রহৃত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশি প্রহরায় ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “ওই দুষ্কৃতী চুরি করতে এসেছিল। কিন্তু সুমিতবাবু বেরিয়ে আসায় তা পারেনি। তাঁর তৎপরতাতেই দুষ্কৃতীকে ধরা গিয়েছে।”