Advertisement
E-Paper

দুই শিক্ষককে স্থায়ী করার দাবি, অধ্যক্ষ-সহ পাঁচ জনকে ঘেরাও

দুই অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ী করার প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা এবং তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীরামপুর কলেজের অধ্যক্ষ-সহ কর্তৃপক্ষের পাঁচ জনকে ঘেরাও করে রাখলেন শিক্ষকেরাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০১

দুই অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ী করার প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা এবং তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীরামপুর কলেজের অধ্যক্ষ-সহ কর্তৃপক্ষের পাঁচ জনকে ঘেরাও করে রাখলেন শিক্ষকেরাই।

বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে অকারণে টালবাহানা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে এমন কিছু মন্তব্য করা হয়েছে, যা সব শিক্ষকের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে অধ্যক্ষ লাল্টলুঅ্যাংগ্লিয়ানা খিয়াংটে বলেন, “বিষয়টি দুভার্গ্যজনক। পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ওই দুই শিক্ষককে কলেজ থেকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য এ দিন ওই বিক্ষোভ হয়, তাঁদের স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত কাগজপত্র শিক্ষা দফতরে জমা পড়েছে। যত দিন তাঁদের স্থায়ী করা না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কলেজ তহবিল থেকেই তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তা নিয়ে এ দিন বিকেলে কর্তৃপক্ষের তরফে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ (আর্টস-কমার্স-সায়েন্স) সৌমিত্রশঙ্কর দাশগুপ্ত, আর্টস-কমার্স-সায়েন্স বিভাগের সেক্রেটারি সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বার্সার অসীমা দাস এবং টিচার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি প্রদীপ পাণ্ডা শিক্ষকদের সঙ্গে সিএলআরসি (কেরি লাইব্রেরি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার) হলে আলোচনায় বসেন। সেখানেও দুই শিক্ষকের স্থায়ীকরণ ত্বরাণ্বিত করা এবং বেতন বাড়ানোর দাবি তোলেন বাকি শিক্ষকেরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই দাবি আমল দেননি বলে অভিযোগ। এর পরেই অন্তত ৫০ জন শিক্ষক সভা ছেড়ে বেরিয়ে ওই হলেই কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করেন। রাত ১০টা নাগাদ দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষে শিক্ষক অরূপ সেন বলেন, “কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা না শুনে ভোট নিয়ে আলোচনাতেই ব্যস্ত থাকলেন। এটা আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।”

অভিযোগ উড়িয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনাই চাই। কিন্তু ওরা আমার অফিসে আলোচনা করতে রাজি নন। ওই হলে আলোচনা সম্ভব নয়। সেটাই জানানো হয়েছিল।” অসীমাদেবী বলেন, “শিক্ষকেরা ওই দুই শিক্ষকের বেতন বাড়ানো নিয়ে এ দিন নতুন প্রস্তাবনা করতে চেয়েছিলেন। তা সম্ভব হয়নি। ওঁরা আমাদের নিস্ক্রিয় ভাবলে তা ঠিক নয়।”

srirampur college southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy