নিলামের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেও তার আগে সদস্যদের অন্ধকারে রেখে বাতিল লোহার জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের সালেপুর-১ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের একাংশই প্রধান গুণধর খাঁড়ার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার ওই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে মঙ্গলবারই পঞ্চায়েতে তদন্তে যান বিডিও-র প্রতিনিধি। ব্লক প্রশাসনের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে প্রধান অবৈধ কাজ করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে। প্রকাশ্যে নিলাম সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তার আগেই তিনি জিনিস বিক্রি করেছেন। বিডিও প্রণব সাঙ্গুই জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান গুণধরবাবু দাবি করেন, “পঞ্চায়েত ভবনের নীচের তলায় ব্যাঙ্ক হচ্ছে। সে জন্য তড়িঘড়ি জায়গা দিতেই মালপত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে রেখেছি।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই অব্যবহৃত লোহার সামগ্রী প্রকাশ্যে নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয় ওই পঞ্চায়েতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ৫ অগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় প্রকাশ্যে নিলাম হবে। পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুফল চানক, চন্দনা কোলে, রণজিত্ জলকর প্রমুখের অভিযোগ, ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে পঞ্চায়েতে কোনও সভা ডাকা হয়নি। লোহার মালপত্র প্রধান নিজের ইচ্ছামতো ৩ অগস্ট গোপনে বিক্রি করে দেন। প্রধানের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে দলের কাছেও বহুবার অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু দল কোনও পদক্ষেপ করেনি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের কাজকর্ম নিয়ে দলীয় ভাবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy