বেহাল প্রেমচাঁদ রোডের রোজকার ছবি।ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
গোটা রাস্তাজুড়েই খানাখন্দ। ছোট বড় দুর্ঘটনারও বিরাম নেই। বর্ষায় খানাখন্দে জমা জলে গাড়ির চাকা পড়ে পথচারী থেকে রাস্তার পাশে দোকানে কাদা ছিটকে আর এক বিড়ম্বনা। এ নিয়ে গোলমালও বাধছে অহরহ। উলুবেড়িয়ার প্রেমচাঁদ রোড নিয়ে যানচালক থেকে নিত্যযাত্রী, পথচারীদের এমন নাজেহাল অবস্থা সত্ত্বেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা।
রাস্তার দৈঘ্য তিন কিলোমিটার। ২০০৭ সালে উলুবেড়িয়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে মেরামত করা হয়েছিল। এরপরে মাঝে খানাখন্দ বোজাতে একবার ইটের টুকরো ফেলা ছাড়া আর কিছুই হয়নি বলে জানালেন স্থানীয় মানুষ। ফলে যানবাহন আর বৃষ্টির সৌজন্যে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। ছোট, বড় সব ধরনের গাড়িই যাতায়াত করে এই রাস্তায়। রাস্তার এ হেন অবস্থায় যাত্রীদের দুর্বিষহ অবস্থা। নিরুপায় যাত্রীদের বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
অথচ এই রাস্তা দিয়ে চেঙ্গাইল, কাজিরচড়া, পশ্চিম বুড়িখালি, চক্কাসি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৭, ১৮, ২২, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ-সহ বুড়িখালি ক্ষেত্রমোহন হাইস্কুল, কাজিরচড়া হাইস্কুল, ও একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। এলাকায় জুটমিল ও অন্য কারখানার পাশপাশি রয়েছে ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিস। সেখানকার কর্মীদেরও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
পশ্চিম বুড়িখালির বাসিন্দা প্রদীপ্ত সামন্ত, সনাতন মণ্ডল বলেন, ‘‘একবার রাস্তা মেরামত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কাজ না হওয়ায় এখন ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে জুটমিলের বড় বড় পাট ভর্তি লরিগুলি এই রাস্তা দিয়েই যায়। ফলে আরও খারাপ হচ্ছে রাস্তা। যা অবস্থা তাতে রাস্তা দিয়ে ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করতে হয়।” যানচালকদের অভিযোগ, রাস্তা সারানোর দিতে প্রশাসনের কোনও নজর নেই। ফলে রাস্তা তো খারাপ হয়েইছে, পাশাপাশি এই রাস্তা গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
কী বলছে প্রশাসন? উলুবেড়িয়ার ২২ নম্বর ওয়াডের্র কমিশনার রীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার সাধনা বারিক বলেন, “রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে ডিএম এবং চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।” উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ বলেন, “রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা জানি। খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy