হাওড়া পুর-এলাকাকে মেগাসিটি প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভায় হাওড়া পুরসভা আইনের সংশোধনী চেয়ে আনা বিল বিতর্কের জবাবি ভাষণে এ কথা জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, হাওড়া পুর-এলাকার মধ্যে নতুন কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত করার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। সংশোধনীতে হাওড়া পুরসভাকে অধিকার দেওয়া হচ্ছে, তারা সংলগ্ন কোনও এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করতে বা বাদ দিতে চাইলে রাজ্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে করতে পারবে।
বিল বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, হাওড়া ৫০০ বছরের ও কলকাতা ৩০০ বছরের কিছু বেশি সময়ের পুরনো। এই দুই শহরকে যমজ শহর বলা হয়। অথচ, হাওড়ার উন্নয়ন তেমন হয়নি। সেখানকার রাস্তাঘাট খারাপ, পুর-পরিষেবাতেও বহু ঘাটতি রয়েছে। সিপিএমের ইনসার আলি বিশ্বাস অভিযোগ করেন, বাজেট পেশের সময়ে হাওড়ার মেয়র নিজের পকেট থেকে কাগজ বার করে পড়েছেন। কিন্তু বাজেটের বই কাউন্সিলরদের দেননি। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী জবাব দিন। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থেই সরকার এই বিল এনেছে।
রাজনৈতিক স্বার্থের অভিযোগ অস্বীকার করে পুরমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা ও হাওড়াকে যমজ শহর বলা হলেও দুই শহর দেখলে মনে হবে কলকাতা নিজের ছেলে, হাওড়া সৎ ছেলে। আমরা চাই কলকাতার সমান উন্নয়ন হোক হাওড়ার। তার কাজ শুরু হয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এখন মুখ্যমন্ত্রী বসেন হাওড়ার নবান্নে। সেখানে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট মানুষজন আসেন। সেই শহরের এই অবস্থা দেখলে রাজ্যের প্রতি তাঁদের ধারণা কেমন হবে? আমরা তা চাই না। তাই হাওড়া পুর-এলাকাকে ধরে ধরে মেগাসিটি প্রকল্পের আওতায় আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy