Advertisement
E-Paper

হাওড়া হোমিওপ্যাথি কলেজে অধ্যক্ষকে ঘেরাও টিএমসিপির

কলেজের সামগ্রিক দুরবস্থার প্রতিবাদে এ বার সরকারি হোমিওপ্যাথি কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩৬

কলেজের সামগ্রিক দুরবস্থার প্রতিবাদে এ বার সরকারি হোমিওপ্যাথি কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা।

কলেজ সূত্রে খবর, ক্যাম্পাস লাগোয়া একটি জমিতে শবদেহ সংরক্ষণাগার তৈরির বিরোধিতা এবং কলেজের দুরবস্থার প্রতিবাদে প্রায় চার ঘণ্টা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। চলে ক্লাস বয়কটও। বিক্ষোভ চলে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। পরে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০০১ সালে তৈরি এই স্নাতকোত্তর হোমিওপ্যাথি কলেজ হাসপাতালটিতে ছাত্রীদের হস্টেল থাকলেও নিরাপত্তাকর্মী নেই, কর্মীর সংখ্যাও কম। তার উপরে শিক্ষক না থাকায় বহু বিষয় পড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলেজের সীমানা পাঁচিল ভেঙে ক্যাম্প্যাস লাগোয়া একটি জলা-জঙ্গলে পূর্ণ জমিতে পিস হাভেনের মতো শবদেহ সংরক্ষণাগার তৈরির জন্য ব্যানার টাঙায় হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা বা এইচআইটি। এ নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

যদিও এইচআইটি’র দাবি ওই জমিটি তাদের। সংস্থার চিফ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জমি হাসপাতালের নয়। জমির কাগজ আমাদের কাছে ঐছে। তাই জমিতে শবদেহ সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, জমিটি কলেজ-ক্যাম্পাস লাগোয়া। তাদের দাবি, কলেজে জমির কাগজপত্র আগে ছিল বলে তাঁরা শুনেছেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ নাকি ওই কাগজ খুঁজে পাচ্ছেন না। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার পরে তিন দিন কেটে গেলেও অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেননি।

ওই কলেজের ছাত্র সংসদও বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। কলেজের সাধারণ সম্পাদক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রণয় পাল বলেন, “জমিটি কলেজের হওয়া সত্ত্বেও কী করে অন্য সংস্থা দখল করে নিল তা নিয়ে অধ্যক্ষ সক্রিয় ভুমিকা নেননি। হাসপাতালের মানও আগের তুলনায় অনেক নেমে গেছে, উন্নতির ব্যাপারেও অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেননি।”

অভিযোগ মানতে নারাজ অধ্যক্ষ নিখিল সাহা। তিনি বলেন, “ঘটনাটি জেনেই সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ছাত্রেরা যা বলছে ঠিক নয়। উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।” বিকেলে ফের ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের দাবির ব্যাপারে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেবেন বলে

ঘোষণা করলে বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও তুলে নেন।

howrah homeopathy college principal gherao southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy