প্রায় সব জিনিসেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থাতেও দু’তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম খানিকটা কমতে পারে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার। এই আশার মূলে আছে কম দামে কয়লা পাওয়ার সম্ভাবনা। এবং পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের খনি থেকে স্বল্প মূল্যে কয়লা পাওয়া যাবে বলেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমবে। তার ফল পেতে পারেন গ্রাহকেরা।
শুক্রবার বণিকসভা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। তিনি জানান, নতুন ব্যবস্থায় আগের থেকে কম দামে কয়লা পাওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য খরচ কমানো সম্ভব। তবে রেলের পণ্য পরিবহণ খরচ বা এই সংক্রান্ত অন্য কিছুর দাম বাড়লে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানো কঠিন হবে বলেও জানিয়ে রেখেছেন মণীশবাবু।
নিগমের খনিগুলি থেকে আগে কয়লা তুলত বেঙ্গল এমটা। খনি বণ্টন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ৩১ মার্চ থেকে ওই সব খনিতে কয়লা তোলা বন্ধ রয়েছে। কয়লা মন্ত্রকের কাছ থেকে নিগম ফের খনিগুলি হাতে পেয়েছে। তবে দরপত্র ডেকে নতুন সংস্থা নিয়োগ করতে হবে। তারাই ওই সব খনি থেকে কয়লা তুলবে নিগমের জন্য। নিগম-কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, যে-হেতু প্রতিযোগিতায় জিতে খনি থেকে কয়লা তোলার বরাত পেতে হবে, তাই টন-পিছু কয়লার দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমতে পারে।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নতুন দু’টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন অযোধ্যা পাহাড়ের বাগমুন্ডিতে পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ নামে বণ্টন সংস্থার একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। গ্রিডের তাপবিদ্যুৎ ব্যবহার করে নীচের জলাধার থেকে উপরের জলাধারে জল তুলে তা নীচে ফেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। নতুন যে-দু’টি পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে, সেখানে জল তোলার জন্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে বলে মণীশবাবু জানান। তুর্গা-য় ১০০০ মেগাওয়াট পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পে কাজে লাগানোর জন্য ১২০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের জন্য যা খরচ হবে, তার একটা বড় অংশ কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হবে বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy