এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা করবে রাজ্য সরকার। তা না পেলে ১ মে থেকে নিজেরাই তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সিএজি রিপোর্টে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ৩৯ কোটি কর্মদিবস তৈরি করেছে তাঁর সরকার। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাওয়া গেলেও ৪৩ দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে। বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী, একশো দিনের কাজের যে ২১ লক্ষ শ্রমিক মজুরি পাননি, তাঁদের টাকা ২১ ফেব্রুয়ারির বদলে ১ মার্চ মেটাবে রাজ্য সরকার। কারণ, উপভোক্তাদের সংখ্যা বেড়ে হবে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার। তা ছাড়া ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে অতিরিক্ত কিছু সময় লাগছে। মমতার ঘোষণা, ‘‘টাকা না পাওয়া গেলে ১ মে থেকে ১১ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হবে নিজেদের অর্থেই। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে, গুন্ডারা বলে না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘একশো দিন, আবাস, সড়ক যোজনায় রাজ্য পয়লা নম্বরে ছিল। একশো দিনের কাজে ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে ৩০১ কোটি ১৪ লক্ষের বেশি শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছিল। আবাসে ৪৭ লক্ষ ৬২ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে রাজ্য। কেন্দ্র সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কী ভাবে একটা সরকার চলছে বুঝতে পারছেন?’’
মমতার অভিযোগ, ৩৩৪টির বেশি কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসে সব দেখে গিয়েছে। তারা যা চেয়েছে, সব দিয়েছে রাজ্য। তার পরেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। তার পরে যুক্ত হয়েছে সিএজি রিপোর্ট। তিনি বলেন, ‘‘কোনও শংসাপত্র বকেয়া নেই। পুরোটা মিথ্যাচার এবং অনাচার। সিএজি-কে নিয়েও রাজনীতি করছে কেন্দ্র।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)