Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

টক্করে দু’পক্ষই, পাহাড়ে বন্‌ধের শুরু আজ

সোমবার থেকে সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধ ডেকেছে মোর্চা। পাল্টা হিসেবে সরকারি দফতরগুলির প্রত্যেক কর্মীকে প্রতিটি কাজের দিন হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সৌমিত্র কুণ্ডু
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০৩:২২
Share: Save:

বন্‌ধের দিনগুলি নিয়ে মুঠি শক্ত করছে দু’পক্ষই।

আজ, সোমবার থেকে সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধ ডেকেছে মোর্চা। পাল্টা হিসেবে সরকারি দফতরগুলির প্রত্যেক কর্মীকে প্রতিটি কাজের দিন হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য। যত দিন না বন্‌ধ প্রত্যাহার হচ্ছে, তত দিন কোনও সরকারি কর্মী বিশেষ কারণ ছাড়া ছুটিও পাবেন না। যদি কেউ অনুপস্থিত থাকেন, তা হলে তা তাঁর চাকরিতে ছেদ বলে ধরা হবে। রবিবার পাঁচ মোর্চা সমর্থককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এই নির্দেশের কথা জানাজানি হওয়ার পরে পাল্টা হুমকি দিয়েছে মোর্চাও। রবিবার মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ পাতলেবাসে বলেন, ‘‘পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছেন। সোমবার আরও হাজার জন গ্রেফতার হবেন। জেলে জায়গা থাকবে না।’’ তাঁর কথায়, আলাদা রাজ্যের দাবিতে তাঁরা সকলেই ঝাঁপাবেন। গুরুঙ্গ জানিয়েছেন, গুলি চললে আন্দোলন আরও তীব্র হবে— যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, বন্‌ধে গোলমাল হতে পারে। পর্যটনন্ত্রী গৌতম দেব জবাবে বলেছেন, ‘‘গুরুঙ্গের এই বক্তব্যই তো অসাংবিধানিক!’’

আরও পড়ুন: এসপি-র কথাও শোনেনি পুলিশ

গুরুঙ্গের বক্তব্য, ভানুভবনে জিটিএ-র দফতর রয়েছে। তাঁর ও জিটিএ’র চিফ এগ‌্‌জিকিউটিভের অফিস রয়েছে। ১৪৪ ধারা করে কেন সেটা বন্ধ করা হল? সে কারণেই তাঁরা সরকারি দফতর বন্‌ধ ডেকে আন্দোলনে নেমেছেন। সোমবার বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার কর্মসূচিতে পথে নামবে দল। মোর্চার সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ লাঠি চালালে চালাবে। গুলি চালালে, কেউ মারা গেলে সেই মতো আন্দোলন তীব্রতর হবে।’’ কংগ্রেস এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ মানসিকতাকে দায়ী করেছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘দম্ভ ও সঙ্কীর্ণতা ছেড়ে উদার মানসিকতা নিয়ে তিনি পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন।’’ তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেসের বক্তব্য ভিত্তিহীন। মুখ্যমন্ত্রী বরাবর যে কোনও বন্‌ধের বিরুদ্ধেই এমন কড়া।

পর্যটকেরা কী করবেন?

গুরুঙ্গের বক্তব্য, পর্যটকেরা পাহাড় থেকে নেমে গেলেই ভাল করবেন। মোর্চা সভাপতির মন্তব্য শুনে পর্যটকদের অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কেউ কেউ নেমে আসার প্রস্তুতি শুরু করেন। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য জানিয়েছেন, পাহাড়ে আইনের শাসন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পর্যটকদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE