Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Trawlers

রাতভর অপারেশন ভারত-বাংলাদেশ উপকূল রক্ষীদের, ১০০-র বেশি নিখোঁজ ভারতীয় ট্রলার উদ্ধার

ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর কলকাতা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে তাঁরা ডায়মন্ডহারবারের মৎস্য দফতরের অরিতিক্ত অধিকর্তার কাছ থেকে জানতে পারেন যে কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে যাওয়া একটি মৎস্যজীবীদের ট্রলার নিঁখোজ হয়ে গিয়েছে। সেই ট্রলারে ছিলেন ১৩ জন মৎস্যজীবী।

আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকো। ছবি সৌজন্যে উপকূল রক্ষী বাহিনী।

আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকো। ছবি সৌজন্যে উপকূল রক্ষী বাহিনী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ১৭:১৫
Share: Save:

ঝোড়ো হাওয়া এবং অশান্ত সমুদ্রে বিকল হয়ে যাওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারটি সহ, প্রায় ১০০ টি বিভিন্ন মাপের ট্রলার ঝড়ের তান্ডবে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশের জলসীমায়। তাঁদেরও রবিবার উদ্ধার করে দুই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী।

ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর কলকাতা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে তাঁরা ডায়মন্ডহারবারের মৎস্য দফতরের অরিতিক্ত অধিকর্তার কাছ থেকে জানতে পারেন যে কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে যাওয়া একটি মৎস্যজীবীদের ট্রলার নিঁখোজ হয়ে গিয়েছে। সেই ট্রলারে ছিলেন ১৩ জন মৎস্যজীবী।

তারাশঙ্কর নামে ওই ভারতীয় ট্রলারটির তল্লাশিতে নামে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ। হাওয়ার গতি থেকে তাঁদের সন্দেহ হয় যে ওই ট্রলার ভেসে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে গিয়ে থাকতে পারে। বাহিনীর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মঙ্গলায় সে দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।” বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ পালা করে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মঙ্গলা বন্দর থেকে দূরে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ভারতীয় মৎস্যজাবীদের ওই নৌকোটিকে দেখতে পায়।

উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, ঝড়ের মুখে পড়ে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলারটি বিকল হয়ে যায়। মৎস্যজীবীরা প্রাণ বাঁচাতে কোনওমতে আশ্রয় নেন ওই বয়ার কাছে। ওই ট্রলারটি বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জাহাজের সঙ্গে বেঁধে আনার পথেই কিছু দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল ভিতরে আরও ১০০ টি ভারতীয় ট্রলারকে দেখতে পান বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরাও ঝড়ের প্রকোপে ভেসে গিয়ে মোহনায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। জায়গাটি পুসুর নদীর মোহনায় বলে জানিয়েছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা।

আরও পড়ুন: কাটমানির অভিযোগের জের, প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মানাহানির মামলা শান্তনু সেনের

আরও পড়ুন: এক লক্ষ কোটি গাছ বসালেই পাওয়া যাবে ১০০ বছর আগের ফুরফুরে বাতাস!

সেখান থেকে বাংলাদেশের উপকূলক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ওই সমস্ত ভারতীয় নৌকোগুলিকে পথ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী তাঁদের নিয়ে আসেন হেরোভাঙা নদীপথে নিরাপদ জায়গায়।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সমুদ্র এতটাই ফুলে উঠেছিল যে, গভীর সমুদ্রেও ঢেউ প্রায় ৫-৬ মিটার উঁচু হয়ে উঠেছিল। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। আর তাতেই ভেসে যান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE