ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন রাজ্যের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা। বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে মালদহ-নয়াদিল্লি এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ট্রেনটিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা অনেক যাত্রী ছিলেন। আহতদের রায়বরেলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অবশ্য তাঁদের অনেকেরই নাম পরিচয় এ দিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে মালদহের নুরপুরের বাসিন্দা সরিফুল শেখ ও তাঁর ছেলে রফিকুল শেখ যে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন, সে খবর বিকেলেই তাঁদের গ্রামে পৌঁছয়। ওই এলাকার বাসিন্দা মহিদুর শেখও জখম। তিন জনই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। সরিফুলের স্ত্রী ফুলজান বিবি বলেন, “সংসারের হাল ফেরাতে বাবা-ছেলে মিলে দিল্লিতে কাজে যাচ্ছিলেন। ফোনে কথা হওয়ার পর উদ্বেগ কিছুটা কেটেছে। তাদের বাড়ি ফিরতে বলা হয়েছে।” মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গার অন্তত ৯ জন আহত হন বলে প্রাথমিক ভাবে রেল সূত্রে খবর।
রেল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতদের অনেকেই দিনমজুর। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা সেই কাজেই উত্তর ভারতে যেতে এই ট্রেনে উঠেছিলেন। সপ্তাহে দু’দিন, মঙ্গল ও শনিবার ট্রেনটি চলাচল করে। ছাড়ে মালদহ টাউন স্টেশন থেকে। নুরপুরের বরমপুর গ্রামের ১৪ জন শ্রমিক ওই ট্রেনের সাধারণ কামরায় ছিলেন। সেটিও লাইনচ্যুত হয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই রাজ্য প্রশাসন আহতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। মানিকচক ব্লকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত বলেন, “আহতেরা প্রত্যেকেই গ্রামে ফিরে আসছেন। আমরা ওই পরিবারের সব রকম ভাবে পাশে রয়েছি।” এ দিন মালদহ টাউন স্টেশন-সহ ডিভিশনের চারটি এলাকায় হেল্প ডেস্ক চালু করেছে রেল। মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম তনু চন্দ্র বলেন, “মালদহ ডিভিশনের বহু যাত্রী ট্রেনটিতে যাতায়াত করেন। ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জের যাত্রীরা রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে আহত ২৮ জনের তালিকা পেয়েছি। প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy