Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Murarai

টিকিট কাকে, নানা পোস্টে বিভ্রান্ত মুরারই

এই ধরনের বিভিন্ন পোস্টে মুরারইয়ের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

এমনই নানা পোস্ট ছড়িয়েছে মুরারইয়ে। নিজস্ব চিত্র।

এমনই নানা পোস্ট ছড়িয়েছে মুরারইয়ে। নিজস্ব চিত্র।

তন্ময় দত্ত 
মুরারই শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের ঢের দেরি। প্রার্থী ঘোষণা তো দূর অস্ত। তার আগেই তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে মুরারইয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে প্রচার। এই নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনায় বিরক্ত। কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।

২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে মুরারইয়ের বিধায়ক হন আব্দুর রহমান। কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে ভোট যুদ্ধে মাত্র ২৬৩ ভোটে আব্দুর রহমানের কাছে হারতে হয়েছিল আলি মুর্তজা খানকে। যদিও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে জেলার তৃণমূলের সহ সভাপতি পদেও আছেন। সেই আলি মর্তুজার হয়েই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে চেয়ে।

ফেসবুকে রাজগ্রাম টিএমসি, হরিশপুর টিএমসি ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার ‘টিএমসি’ নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। রাজগ্রাম টিএমসির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘আলি খানের মধ্যে বিধায়ক হওয়ার সব রকম যোগ্যতা আছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সারা বাংলা মমতা ঝড়ে সব বিরোধী দলগুলি কুপকাত, তখনও আলি মুর্তজা খান অতি সামান্য ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তাই মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে মুরারই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দিলে জয়ী হবেন।’ আবার হরিশপুর টিএমসি নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ‘মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে এক মাত্র যোগ্য প্রার্থী আলি মুর্তজা খান। মুরারই ২ ব্লক থেকে ৯০ শতাংশ ভোট ভোট আলি খান পাবেন।’

এই ধরনের বিভিন্ন পোস্টে মুরারইয়ের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তাঁদের অনেকেই বলছেন, দলনেত্রী কিছু বলেননি, এখনই কী করে কাউকে প্রার্থী হিসেবে চেয়ে ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হচ্ছে? এই ধরনের প্রচারকে সমর্থন করেননি মুরারই ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিনয় ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘দলীয় প্রতীক নিয়ে কে ভোটে দাঁড়াবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করবেন। আমিও মোবাইলে এই সমস্ত পোস্ট দেখতে পাচ্ছি। কে বা কারা দলের নাম নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন, তা জেলা নেতৃত্বকে জানাব।’’

বিধায়ক আব্দুর রহমান বলছেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।’’ অন্য দিকে, আলি মুর্তজার দাবি, ‘‘আমার নাম করে প্রচারের বিষয়টি জানা নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক দিন আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে দল করছি। এই ধরনের প্রচার বিরোধীদের চক্রান্ত। আমি দলের সৈনিক, দলের হয়ে কাজ করে যাব।’’

বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘যত ভোট এগোবে, তৃণমূলে ততই এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হবে। শুধু মুরারইয়ে নয়, জেলার সমস্ত জায়গায় একই ছবি।’’ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলছেন, ‘‘আলি মুর্তজা খান ও বর্তমান বিধায়কের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কী প্রচার হচ্ছে, সেই নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূল শৃঙ্খলপরায়ণ দল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murarai TMC Inner conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE