E-Paper

‘নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে’

১০০ দিনের কাজেও জেলায় কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। একাধিক প্রধান জেলও খেটেছেন। পঞ্চায়েতের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নজিরও জেলায় আছে।

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ০৭:৩৮
মালদহের বিদায়ী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। নিজস্ব চিত্র

মালদহের বিদায়ী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন: ‘দুয়ারে’ পঞ্চায়েত ভোট। মানুষের জন্য কতটা কাজ করতে পারলেন?

উত্তর: গত বিধানসভা ভোটের আগে, বিজেপি জেলা পরিষদ ভাঙার চেষ্টা করে। তৎকালীন সভাধিপতি দলবদল করলেও, জেলা পরিষদ ভাঙেনি। আমি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সভাধিপতি হয়েছি। তার পরে রাস্তা, পানীয় জল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কারের কাজ হয়েছে।

প্রশ্ন: মালদহে আর্সেনিকেরও সমস্যা আছে।

উত্তর: আছে। কিছু এলাকায় এখনও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি। তবে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে মানিকচকে আর্সেনিক প্রভাবিত এলাকায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচে পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।

প্রশ্ন: আর্সেনিক কবলিত গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেখে সেই এলাকা এড়িয়ে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

উত্তর: আমার মতে, গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শোনা উচিত। কালিয়াচকের একটি গ্রামে আর্সেনিকের জল নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আর্সেনিক কবলিত মানুষের দুর্দশার কথা আমি জানি। মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন।

প্রশ্ন: ‘দিদির দূত’ হিসেবে আপনিও যাচ্ছেন। কেন প্রশ্ন কিংবা ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে?

উত্তর: আমি ‘দিদির দূত’ হিসেবে ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছি। উন্নয়ন নিয়ে মানুষের প্রশ্ন নেই। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ক্ষোভ আছে। মানুষ আমাদের ঘরের লোক মনে করেন বলেই অভাব-অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

প্রশ্ন: আবাস নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?

উত্তর: আবাস যোজনায় কেন্দ্র জেলায় তদন্ত করেছে, ‘ক্লিন চিট’ও দিয়েছে। কিছু নাম নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এই ঘরের তালিকা পাঁচ বছরের পুরোনো। পাঁচ বছরে বহু মানুষের আর্থিক উন্নতি হতেই পারে। তবে কেন্দ্র সমীক্ষার পরেও গরিব মানুষদের ঘরের টাকা দিচ্ছে না।

প্রশ্ন: ১০০ দিনের কাজেও তো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে?

উত্তর: ঠিক বলেছেন। ১০০ দিনের কাজেও জেলায় কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। একাধিক প্রধান জেলও খেটেছেন। পঞ্চায়েতের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নজিরও জেলায় আছে। বিজেপির পঞ্চায়েতও তো জেলায় আছে। সেগুলিতে কি দুর্নীতি হয়নি!

প্রশ্ন: শিক্ষক নিয়োগে জেলাতেও তো দুর্নীতির অভিযোগ আসছে?

উত্তর: আমি নিজে শিক্ষক। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদেরও পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হয়েছে। মামলা চলছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হওয়া উচিত। না হলে, শিক্ষার উপরে প্রভাব পড়বে।

প্রশ্ন: মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা মেটাতে কোনও পরিকল্পনা আছে?

উত্তর: রাজ্য সরকার শ্রমিকদের কাজের জন্য ভাবছে। সরকারি প্রকল্পে শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে।

প্রশ্ন: জেলার অর্থনীতিতে বড় অবদান আমের। আম নিয়ে কোনও পরিকল্পনা?

উত্তর: এখানে ‘তন্তুজ’-এর মতো ‘আম্রজ’ বলে কিছু করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। বড় কারখানা করার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য এই বিষয়ে উদাসীন।

সাক্ষাৎকার: অভিজিৎ সাহা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WB panchayat Election 2023 West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy