E-Paper

পাঁচ কোটি ‘প্রণামী’র গন্তব্য কোথায় ছিল, অনুসন্ধান

গত ১৬ নভেম্বর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার নারায়ণপুর থানা এলাকায় রাজ‍্য পুলিশের এসটিএফ এবং স্থানীয় থানার যৌথ অভিযানে একটি সাদা গাড়িতে ওই নগদ উদ্ধার হয়।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৫০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কলকাতার উপকণ্ঠে গাড়িতে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা। রাজ‍্য পুলিশের এসটিএফ এবং স্থানীয় পুলিশের অভিযানে ধরা পড়া সেই টাকার উৎসের খোঁজেই যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটের হদিস। জানা যায়, নাইলনের রংবেরঙের সাতটি ব‍্যাগে গাড়িতে লুকোনো নগদ এসেছিল বীরভূম থেকে। সিউড়ির বালি-পাথর পাচার চক্রের এক চাঁইয়ের থেকে ওই টাকা কলকাতার রাজনৈতিক মহলের শীর্ষ স্তরের ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবীর কাছে যাচ্ছিল বলে ইডির সন্দেহ।

গত ১৬ নভেম্বর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার নারায়ণপুর থানা এলাকায় রাজ‍্য পুলিশের এসটিএফ এবং স্থানীয় থানার যৌথ অভিযানে একটি সাদা গাড়িতে ওই নগদ উদ্ধার হয়। গাড়ির চালক সিউড়ির ইমরান খান এবং তার সঙ্গী আক্রম খানকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। তারা এখন এসটিএফের হেফাজতে। গরু ও কয়লা পাচারে ইডি, সিবিআইয়ের মামলায় অন্যতম এক অভিযুক্ত এই নগদ টাকার পিছনে বলে নানা মহলে সন্দেহ বাড়ছে।

টাকার উৎস নিয়ে রাজ্য পুলিশের সমান্তরালে ইডি এবং আয়কর দফতর তদন্তে নেমেছে। বারাসত আদালত থেকে টাকা উদ্ধারের সব নথি ইডি সংগ্রহ করেছে। আয়কর দফতরও রাজ‍্য পুলিশকে চিঠি দিয়ে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চায়।

ইডি সূত্রে দাবি, গরু, কয়লা পাচার মামলায় গ্রেফতার করা না-হলেও দিল্লিতে ডেকে ওই ব্যক্তির বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। তাঁকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটও জমা পড়ে। এর পরেই গরু, কয়লার কারবার থেকে সরে তিনি বীরভূমের খাদান থেকে বালি-পাথর পাচারে নামেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। রাজ‍্যের শাসক দলের কয়েক জন নেতার মদতে সেই কারবার ফুলেফেঁপে উঠেছে এবং সেই সূত্রে কিছু প্রণামী উপরমহলে যেত বলে জানা গিয়েছে।

ইডির তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, সিউড়ি থেকে ওই অভিযুক্তের পাঠানো টাকা মাসে মাসে ইমরান, আক্রমেরা রাজারহাটে প্রভাবশালী ওই আইনজীবীর ডেরায় পৌঁছে দিত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। তদন্তে প্রকাশ, লাল, কালো, মেরুন, নীল রঙের নাইলনের ব্যাগে সব টাকা গাড়ির পিছনের আসন এবং আসনের নীচে কালো কম্বলে ঢাকা ছিল। ছ’টি ব্যাগে ৭৫ লক্ষ এবং একটিতে ৫০ লক্ষ টাকা ভরে রাখা ছিল হাতে লেখা চিরকুটও।

ইডির এক তদন্তকারী বলেন, “টাকার উৎস নিয়ে খোঁজখবর প্রায় শেষ। ইসিআইআর দায়ের করে ইমরান ও আক্রমকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ‍যা করার করব।” রাজ্য পুলিশের এসটিএফের তরফেও ওই অভিযুক্তকে তলব করা হয় সোমবার। আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দিয়ে তিনি সময় চান। তিনি দিল্লি গিয়েছেন বলে খবর। মোবাইল ফোন বন্ধ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Enforcement Directorate STF

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy