বারবার ট্রেনে খারাপ খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। তার জন্য কয়েক দফায় জরিমানাও দিতে হয়েছে। রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো কুলীন ট্রেনে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এ-হেন কেটারিং সংস্থাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিয়েছে রেলের বিরুদ্ধে।
শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে খাবারের দায়িত্ব ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজিম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি-র হাতে চলে যাবে, এই আশঙ্কাতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ট্রেনের কেটারিং সংস্থা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। ওই সংস্থার অভিযোগ, বিচার-বিবেচনা না-করেই ওই ট্রেনে তাদের খাবার সরবরাহের চুক্তি বাতিল করতে চাইছে রেল। কেটারিং সংস্থার আইনজীবী প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় জানান, কেন চুক্তি বাতিল হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিস (শো-কজ) দেওয়া হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। আবার জরিমানাও করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এই দু’টো একসঙ্গে হতে পারে না। এটা বেআইনি। রেলের কৌঁসুলি অশোক চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তৎক্ষণাৎ চুক্তি বাতিলের নিয়ম রয়েছে রেলের।
২৭ মার্চ শিয়ালদহমুখী রাজধানী এক্সপ্রেসে নষ্ট খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকটি কামরার যাত্রীরা হইচই শুরু করেন। কানপুর, আসানসোল ও শিয়ালদহে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রেলমন্ত্রী সংসদে জানান, ওই ট্রেনের ঠিকাদার সংস্থার জরিমানা করা হয়েছে। শো-কজ নোটিসও দেওয়া হয়েছে তাদের।
ওই সংস্থার কৌঁসুলি প্রতাপবাবু জানান, জনা চল্লিশ যাত্রী রাতে গরম ভাত ও রুটি চেয়েছিলেন। তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। ওই যাত্রীরা বেশি রাতে খাবার দিতে বলায় ভাত ও রুটি হট-কেসে রেখে সরবরাহ করা হয় পরে। তবু অভিযোগ ওঠে।
আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় খাবারের মান নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান। রেলের আইনজীবী অশোকবাবুর বক্তব্য, জরিমানা করা হয়েছে সে-রাতে নষ্ট খাবার দেওয়ার জন্য। আর শো-কজ করা হয়েছে ওই সংস্থার হাতে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব আর আদৌ রাখা উচিত কি না, সেই বিষয়ে। ওই সংস্থা শো-কজের জবাবও দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy