কোনও স্টেশনে মাইক নেই, কোথাও আবার পরপর মাইক। ট্রেন আসার ঘোষণা অবশ্য কোথাও হয় না। প্রত্যন্ত এলাকা নয়, এমন অভিজ্ঞতা শিয়ালদহ শাখার দুর্গানগর, বিশরপাড়া-কোদালিয়া এবং নিউ ব্যারাকপুরের মতো স্টেশনগুলিতে। যাত্রীদের বক্তব্য, বারবার রেলের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি।
শিয়ালদহ থেকে বারাসত হয়ে বনগাঁ অথবা বসিরহাট যেতে গেলে ওই স্টেশনগুলি দিয়ে যাতায়াত করতেই হবে। দিনের ব্যস্ত সময়ে স্টেশনগুলিতে থাকে লাগামছাড়া ভিড়। তার মধ্যেই হঠাৎ করে যে কোনও লাইনে চলে আসে ট্রেন, আগাম ঘোষণা ছাড়াই। নিত্যযাত্রীদের কথায়, ‘‘কোন ট্রেন কোথায় যাবে, তা নিয়ে আগাম ঘোষণা না থাকা খুবই সমস্যার।’’ যাঁরা নিত্যযাত্রী নন, তাঁরা ট্রেন পেতে এ প্ল্যাটফর্ম-ও প্ল্যাটফর্ম ঘুরে হয়রান হন। সম্প্রতি সোদপুরে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
তিনটি স্টেশনের চার পাশ দিয়েই গিয়েছে বড় রাস্তা। রেললাইন পারাপারের জন্য গেটও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রেন আসার অনেক আগেই গেট পড়ে যায়। অফিস বা স্কুলের সময়ে অনেকে লাইন পেরিয়ে বা গেটের নীচ দিয়ে যান। ট্রেন ধরার জন্য ছুটোছুটিও শুরু হয়। কিন্তু ঘোষণা না হওয়ায়, প্রতি মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা থাকে। ২০০৮-এ হৃদয়পুর স্টেশনে একই ভাবে ট্রেনের আগাম ঘোষণা হতো না। হঠাৎ আসা ট্রেনের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা।
নিউ ব্যারাকপুর থেকে প্রতি দিন ট্রেন ধরেন সায়নী দেবরায়। তিনি বলেন, ‘‘সময়সারণী দেখে অনেক ক্ষেত্রেই লাভ হয় না। প্রায়ই দেরিতে চলে ট্রেন। ঘোষণা না হওয়ায় বুঝতে পারি না, কোন ট্রেন আসছে।’’
ট্রেন যাতায়াতের ঘোষণা অত্যন্ত জরুরি, তা মানে রেলও। পূর্ব রেল সূত্রে বলা হয়েছে, কেন ওই স্টেশনগুলিতে ঘোষণা হয় না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy