বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ স্থলভাগের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। তবে, বাংলায় তা ঢুকতে পারে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে সে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমশ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই ‘জওয়াদ’-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে সাগরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ রয়েছে কিছুটা আঁকাবাঁকা। ‘জওয়াদ’ আঁকাবাঁকা পথ ধরতে চায় কেন? কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, আবহমণ্ডলের উপরের স্তরের বায়ুপ্রবাহের অভিমুখ ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ নির্ধারণ করে। তার ফলেই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বদলায়। উপকূলের খুব কাছে এসে এই ঘূর্ণিঝড়ের বাঁক নেওয়ার প্রবণতা অদ্ভুত মনে হতে পারে। তবে আবহবিজ্ঞানে এটা অস্বাভাবিক বা বিরল নয়।