আন্ত্রিক-তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠল পুরসভার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর থেকে বলা হয়েছে, এ দিন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আন্ত্রিকের উপসর্গ নিয়ে শ’দেড়েক রোগী গিয়েছিলেন। অথচ পুরসভারই এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সংখ্যাটা ৪৩৯। পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, ‘‘পুর প্রশাসন ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে।’’ এ বিষয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।
বিরোধী কাউন্সিলর যখন তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন শাসক দলেরই একাধিক মেয়র পারিষদ এবং কাউন্সিলরের সংশয়, ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে জল পরীক্ষার পদ্ধতিতে গলদ ছিল না তো? গত শনিবার থেকে মেয়র বার বার বলছেন, ৮২টি জায়গা থেকে জল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে জলে দূষণের প্রমাণ মেলেনি।
প্রকাশ্যে মেয়রের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করার সাহস দেখাননি কেউ, তবে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদ ঘরোয়া চর্চায় প্রশ্ন তুলেছেন, নমুনা হিসেবে কোন জল পরীক্ষা করা হচ্ছে, কী ভাবে হয়েছে—তা জানানো হয়নি। তাঁদের দাবি, প্রথমত, আক্রান্ত রোগীর বাড়ি থেকে জল নিয়ে শুরুতেই পরীক্ষা করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, প্রথম দিন শুধু জলে ক্লোরিনের পরিমাণ মেপে বলে দেওয়া হয়েছে জল শুদ্ধ, না দূষিত। সে দিন মাত্র ২১ জায়গা থেকে
জল পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছিল। একাধিক কাউন্সিলরের বক্তব্য, সে দিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন বা নাইসেডের মতো সংস্থাকে দিয়ে জলের পরীক্ষা করানো হল না কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy